কার অনুপ্রেরণায়, কে জানে!‌

মেদিনীপুরে পিটিয়ে খুন করা হল সিপিএম নেতাকে। নিশ্চিত থাকুন, পুলিশ কিছুই করবে না। মুর্শিদাবাদে টিএমসিপি নেতা খুন। পুলিশ ধরল জেলা পরিষদের প্রাক্তন সভাধিপতিকে। নির্লজ্জ আচরণটাই যেন পুলিশের দিনলিপি হয়ে দাঁড়িয়েছে। লিখেছেন রক্তিম মিত্র।।

মেদিনীপুরে সিপিএম নেতা খুন। মুর্শিদাবাদে টিএমসিপি নেতা খুন। দুটি খুনের ঘটনায় আবার বেআব্রু হয়ে গেল রাজ্য প্রশাসনের ভূমিকা।
মেদিনীপুরে সিপিএম নেতাকে খুনের ঘটনাটি ঘটল একেবারে প্রকাশ্যেই। পিটিয়ে মেরে ফেলা হল। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ? একশো দিনের কাজে বেনিয়মের অভিযোগ জানিয়েছিলেন। থানা এফআইআর না নেওয়ায় কোর্টের মাধ্যমে এফআইআর করেছিলেন। থানা অভিযোগ নিল না। তারপরেও এত সাহস!‌ ফল যা হওয়ার, তাই হল। কারা খুনের সঙ্গে যুক্ত, এলাকায় কারও অজানা নয়। কারণ, ঘটনাটি অনেকের চোখের সামনেই ঘটেছে। পুলিস যথারীতি নীরব। তৃণমূল নেতৃত্ব যথারীতি বলে দিলেন, ‘‌এটা সিপিএমের অন্তর্দ্বন্দ্ব। এর সঙ্গে তৃণমূলের সম্পর্ক নেই।’ অনেকদিন ধরেই প্রশাসনের এই নিরবতা চলছে। অনেকদিন ধরেই তৃণমূল নেতৃত্বের এই মিথ্যাচার চলছে। কার অনুপ্রেরণায়, কে জানে!‌

police3
এবার মুর্শিদাবাদ। যেভাবেই হোক, ডোমকল পুরসভা দখল করতেই হবে। সাংসদের গাড়িতে হামলা হল। ডোমকলের বিধায়ক আনিসুর রহমানও আক্রমণের শিকার। কে এইসব হামলায় সামনের থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন, সেই মুখটিও আড়ালে নেই। টিভিতে তিনি ভাষণ দিয়েই চলেছেন। পুলিশের কিচ্ছু করার ক্ষমতা নেই। এবার টিএমসিপি নেতা খুন। সেটি বহরমপুরে। সত্যিই যদি তদন্ত হয়, হয়ত তৃণমূলের মুখ আরও পুড়বে। তড়িঘড়ি করে গ্রেপ্তার করা হল শিলাদিত্য হালদারকে। শিলাদিত্য মুর্শিদাবাদের কংগ্রেস রাজনীতির পরিচিত মুখ। কয়েক মাস আগেও ছিলেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি। জোর করে জেলা পরিষদের দখল নিয়েছে তৃণমূল। কিন্তু শিলাদিত্যকে নেওয়া যায়নি। দলে নেওয়া গেল না, জেলে তো নেওয়া গেল। এতেই আনন্দ।
‌যা ঘটছে, সবাই বুঝতে পারছেন। সবাই কী অনায়াসে মেনে নিচ্ছেন। কোথাও কোনও ঘৃণা নেই। ধিক্কার নেই। পুলিশ বা প্রশাসন এতটা নির্লজ্জ তাঁবেদারি করতে পারে!‌ এই নোঙরামি, এই অসভ্যতা কার অনুপ্রেরণায়, কে জানে!‌

728x90

Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.