সরল বিশ্বাস
ইমাম বরকতি বলেছেন, তিনি লাল লাইট খুলবেন না। স্বয়ং প্রধানমনত্রী এসেও তাঁকে লাইট খোলাতে পারবেন না। আরও নানা বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন। তিনি দায়িত্বশীল নাগরিকের ভূমিকা পালন করেন, এমনটা সচরাচর দেখা যায় না।
মমতা ব্যানার্জি মনে করতেই পারেন, ইমাম সাহেব বিজেপির তীব্র বিরোধী। তাই ইমাম বরকতিরা যতই হুঙ্কার ছাড়ুন, রাজ্য সরকার নীরবই থাকবে। একটা বিবৃতি দেওয়ার ক্ষমতাও কোনও মন্ত্রীর নেই। এমনকী বামপন্থীরাও হয়ত ‘কৌশলগত কারণে’ নিশ্চুপ থাকবেন। কী জানি, হয়ত আগামীদিনে এই ইমাম বরকতিদের আশীর্বাদ পাওয়ার জন্য ছুটে যেতেও পারেন। ‘সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে মহামিছিলে’ হয়ত পাশেও পেতে চাইবেন। তাঁরাও হয়ত ভাবছেন, ইমাম সাহেব বিজেপির বিরোধী।
আমার তো মনে হয় ঠিক উল্টোটা। এঁরাই বিজেপির সবথেকে বড় বন্ধু। তপন শিকদার, তথাগত রায়, রাহুল সিনহারা বিজেপিকে যত না এগিয়ে দিয়েছেন, ইমাম বরকতিরা তার থেকেও বেশি এগিয়ে দিয়েছেন। দিলীপ ঘোষরা যতই বাইকে চড়ে ঘুরে বেড়ান, যতই ভাষণ দিন, মনে রাখবেন, এর জন্য লোকে বিজেপিতে আসবে না। বরকতি সাহেবদের এই লাগামছাড়া মন্তব্যগুলোই মানুষকে অনেক বেশি করে অস্ত্রমিছিল বা হনুমান মিছিলে ঠেলে দেয়। দলের নেতারা এত চেষ্টা করেও যা পারেননি, সেই কাজটাই কত সহজে করে দিচ্ছেন এই মানুষটি।
তাহলে, বিজেপির সবথেকে বড় বন্ধু কে?
যে মুসলিম বিজেপি করবে, ইমাম সাহেব তাদের গণধোলাই দেওয়ার নিদান দিয়েছেন। কিন্তু যে মুসলিম বিজেপি–কে এতখানি অক্সিজেন দিচ্ছেন, তাঁর প্রতি ইমাম সাহেব কী নিদান দেবেন?