স্যারের দেওয়া সেই ছাতা

ক্ষমা চাইছি

স্মৃতিটুকু থাক বিভাগে সময়োপযোগী বেশ কিছু লেখা পড়ি। প্রতিটি লেখাই হৃদয়কে ছুঁয়ে যায়। ক্ষমা চাইছি বিভাগ পড়ে নিজেরও অনেক দোষ স্বীকার করতে ইচ্ছে করে। দোষ গুণ মিলিয়েই তো মানুষ। আমিও তার ব্যতিক্রম নই।

chhataবর্ষাকাল সংক্রান্ত একটি ঘটনার কথা জানাই। আমরা দুজন একটা কাজে এক মাস্টারমশাইয়ের কাছে গিয়েছিলাম। প্রচন্ড বৃষ্টি শুরু হল। আমাদের কাছে ছাতা ছিল না। এদিকে রাত বাড়ছে। বাড়ি ফিরতে হবে। এতটা রাস্তা, ভিজে ভিজেও আসা মুশকিল। মাস্টারমশাই আমাদের সমস্যাটা বুঝতে পারলেন। তিনি নিজেই বললেন, যাওয়ার সময় ছাতাটা নিয়ে যেও। আমরা কিছুটা কিন্তু কিন্তু করলাম। কিন্তু সেই ছাতা নিয়েই বাড়ি ফিরলাম।
ফেরার সময় দুই বন্ধু মিলে ঠিক করলাম, কাল বিকেলের দিকে স্যারের বাড়িতে গিয়ে ছাতাটা দিয়ে আসব। কিন্তু পরের দিন কী একটা কাজ পড়ে গেল। যাওয়া হল না। এভাবেই আজ নয় কাল, এসব করতে গিয়ে আর যাওয়াই হল না। আজও সেই ছাতা ফেরত দিতে পারিনি। মাস্টারমশাই মুখ ফুটে কিছু বলেননি। হয়ত এতদিনে ভুলেও গেছেন। কিন্তু তাঁর সঙ্গে দেখা হলেই মনে পড়ে যায়। অস্বস্তিতে পড়ে যাই। এই লেখার মাধ্যমে মাস্টারমশাইয়ের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছে। এই লেখা কাগজে ছাপা হলে তা সঙ্গে নিয়ে মাস্টারমশাইকে ছাতা ফেরত দিতে যাব।

সজল চক্রবর্তী

(‌স্মৃতিটুকু থাক। পাঠকের মু্ক্তমঞ্চ। এখানে ফেলে আসা জীবনের অনেক স্মৃতি উজাড় করে দিতে পারেন। অনেকদিনের লুকিয়ে রাখা কোনও ভুল স্বীকার করে নিজের মনকে কিছুটা হালকাও করতে পারেন। লিখে পাঠানা আপনার অনুভূতির কথা)‌

Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.