মিডিয়া সমাচার
ঈশ্বর গুপ্ত
‘এই সময়’ কাগজটি কলকাতা ও আশপাশের জেলায় বেশ জনপ্রিয়। কিন্তু উত্তরবঙ্গ দক্ষিণবঙ্গের পাঠকেরা এই কাগজটি হাতে পান না। তাই এই কাগজের অনেক প্রতিবেদন তাঁদের অজানাই থেকে যায়।
গতকাল একটি খবর পড়ে চমকে গেলাম। একেবারে ভেতরের পাতায় তলার দিকে ছাপা হয়েছে। লিখেছেন তাপস প্রামাণিক। কপির শিরোনাম: ‘এঁড়ে বাছুরের নামকরণের অনুরোধ করে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিলেন স্বপন’। এই স্বপন কে? আপনার আমার পাড়ার কোনও স্বপন নয়। এই স্বপন হলেন রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ।
কল্যাণীতে রাজ্য সরকারের প্রাণী খামারে প্রায় একশোটি উন্নতমানের গাভী রয়েছে। দুধের উৎপাদন বাড়ানোর জন্যই এই গাভীগুলিকে সযত্নে রাখা হয়েছে। তার মধ্যে একটি গাভীর বাচ্চা হয়েছে। সেটিও গাভী হলে চিন্তা ছিল না। কিন্তু হয়েছে একটি এঁড়ে বাছুর। কিন্তু সেই এঁড়ে গরুর নাম কী রাখা যায়? মন্ত্রী স্বপনবাবু চাইলে কোনও একটা নাম রেখে দিতেই পারতেন। কিন্তু তিনি ঝুঁকি নিতে চাননি। কী দরকার বাপু নাম রাখার? কন্যাশ্রী, খাদ্যসাথী, সবুজ সাথী, নির্মল বাংলা— এমন কত নামকরণ যিনি করেছেন, তিনি থাকতে অন্য কেউ নামকরণ করতে গেলে ঘোর বিপদ। একটা এঁড়ে বাছুরের নাম রাখতে গিয়ে যদি মন্ত্রিত্ব হারাতে হয়! তার থেকে যিনি ‘নামাঞ্জলি’ লিখেছেন, তাঁর কোর্টেই বল ঠেলে দেওয়া ভাল। তাই স্বপনবাবু রীতিমতো চিঠি লিখে বসলেন মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তরে। অনুরোধ করলেন সেই এঁড়ে বাছুরের নামকরণ করার জন্য। আগামীদিনে ওই খামারে যত এঁড়ে বাছর হবে, সবাইকেই সেই নামে ডাকা হবে। সেই নামটাই সরকারি রেকর্ড বইয়ে থাকবে।
অনেকের হয়ত বিশ্বাস না হতে পারে। আজগুবি মনে হতে পারে। তাই এই সময়ের সেই কাগজের কাটিং ও খবরের লিঙ্ক দেওয়া হল। ছবিতে ক্লিক করলেই সেই লিঙ্ক খুলে যাবে। অনেক খবরের ভিড়েও তাপস প্রামাণিকের এই প্রতিবেদন সত্যিই অনন্য। বেঙ্গল টাইমসের পাঠকরাই বা এমন অভিনব খবর থেকে বঞ্চিত থাকবেন কেন?
(মিডিয়া সমাচার। মিডিয়ায় নানা বিষয় উঠে আসে। অনেকের নজরে পড়ে না। তার কয়েকটি বাছাই করা প্রতিবেদন উঠে আসে বেঙ্গল টাইমসে। এটি তেমনই একটি। আগামীদিনেও এমন নানা আকর্ষণীয় খবরের লিঙ্ক দেওয়া হবে।)