মিডিয়া সমাচার

বেঙ্গল টাইমস প্রতিবেদন: এক সময় কী দুরন্ত ছিল তাঁর কলম। একইসঙ্গে, একই বিষয়ের উপর কতরকম আঙ্গিক থেকে লিখতে পারতেন। দৈনন্দিন সাংবাদিকতার বাইরে গিয়েও কতরকম বিষয় তুলে এনেছিলেন! জেলে গিয়েও সেই কলম হারিয়ে যায়নি। চূড়ান্ত কঠিন সময়েও লিখেছেন পাঁচ খানা বই। সাংবাদিকতা বা স্মৃতিচারণধর্মী বই নয়। কাউকে গালাগাল দিয়ে গায়ের ঝাল মেটানোও নয়। একেবারেই অন্য এক কুণাল ঘোষকে পাওয়া গিয়েছে জেল জীবনের সাহিত্যে। কখনও তিনি লিখছেন চৈতন্যদেবকে নিয়ে। কখনও মহাভারতের নানা আখ্যান ঘেঁটে কৃষ্ণ–দ্রৌপদীর সম্পর্কের টানাপোড়েন নিয়ে। বোঝাই যাচ্ছে, অন্যদের মতো হতাশাময় জীবন তিনি কাটাননি। অনেক ঝাড় ঝাপটার মাঝেও নিজেকে নিয়োজিত রেখেছিলেন সৃষ্টিশীল কাজে।

ফেসবুকে মাঝে মাঝেই তাঁর উপস্থিতি টের পাওয়া যাচ্ছে। বলা যায় বিনম্র উপস্থিতি। মমতা ব্যানার্জির সঙ্গে তাঁর একটি পুরনো ছবি পোস্ট করেছিলেন। তা নিয়ে নানা মন্তব্য উড়ে এল। কী ব্যাখ্যা দিলেন রাজ্যসভার এই সাংসদ? পড়ুন তাঁর লেখনিতেই।
সবিনয় নিবেদন,
গতকাল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আমার একটি পুরনো ছবি পোস্ট করেছিলাম। সে সম্পর্কে বহু মতামত আর প্রশ্ন পেয়েছি। তার পরিপ্রক্ষিতে কিছু কথা-
1) যাঁরা দেখেছেন, মতামত দিয়েছেন, তাঁদের ধন্যবাদ। এই যোগাযোগ যেন থাকে।
2) আমি কিছু ভেবে বা ভাবাতে ছবিটি পোস্ট করিনি। হঠাৎ পেলাম পুরনো ছবি। ভালো মুহূর্ত। তাই দিয়েছি। এর কোনও তাৎপর্য আছে বলে মনে হয় না।
3) তৃণমূলের কাছে যাওয়ার বার্তা দিতে ছবি দিয়েছি শুনলে আমার খুব হাসি পাচ্ছে।
4) মতামত পড়ে বা জেনে অনুভব করছি আমার অনেক শুভানুধ্যায়ী আছেন। তাঁদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। যা মনে করবেন, খোলাখুলি বলবেন। আমি বোঝার চেষ্টা করব। উল্টোমতও শুনব। চলার পথে ভুল পদক্ষেপ হয়েছে, মানুষ চেনার ভুল ছিল, বুঝিনি, কারাগারে প্রায়শ্চিত্ত করেছি, এখন সবার মতামত শোনা আমার কর্তব্য।
5) দু একজনের ভাষা দেখে বুঝি আমাকে সহ্য করতে পারেন না। তাঁদেরও ধন্যবাদ জানাই, কারণ এত অপছন্দের লোকের ফেসবুকে তাঁরা এত সময় দেন, কষ্ট করে লেখেন, তা সে খারাপই লিখুন, আমাকে তো সময় দেন, এটা আমার বড় প্রাপ্তি। তাঁদেরও জানাই ধন্যবাদ।
6) জীবনের কঠিন লড়াইয়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। সবটা এখন বা এখানে বলার নয়। দয়া করে ভুল বুঝবেন না।
এখনও আমি নানা আইনি জালে জড়িয়ে। বিপন্মুক্ত নই। ঈশ্বর চাইলে একদিন আপনাদের সবার প্রতিটি প্রশ্নের জবাব সবিস্তারে দেব। আজ শুধু বলি, ভুল বুঝবেন না।
7) আমার কথা এবং অবস্থান প্রকাশ্য। একটা কঠিন পর্বের মধ্যে আছি। ফেসবুকে যখন আবার এসেছি, যখন যা বলার স্পষ্ট করেই বলব।
8) আমি একজন মিডিয়াকর্মী। আমার সেই সময় প্রত্যক্ষ রাজনীতিতে যাওয়া ঠিক হয়নি। তবে তখন ঘটনাক্রম ছিল অন্য। আমার কাছে আজও প্রথম পছন্দ মিডিয়া। কাজি, অভিজিতরা “biswabanglasangbad” পোর্টাল/অ্যাপ করেছে। সাহায্য করতে বলেছে। চেষ্টা করছি। তার কোনও খবর থেকেও দয়া করে মানে খুঁজবেন না। টিম ভালো কাজ করছে।ওটা দেখুন।লেখার যুক্তিতে বিচার করুন। অনুরোধ থাকলো।