অজয় পয়ড়্যা
প্রথমেই অভিনন্দন জানাতে চাই বিধায়ক আলি ইমরানকে। এই তরুণ বিধায়কের সঙ্গে আলাপ নেই। তবে গত কয়েক বছর ধরে বিধানসভায় তাঁর লড়াকু ভূমিকার কথা কিছুটা হলেও কাগজ পড়ে জেনেছি।
কোনও সন্দেহ নেই, বিধানসভায় তিনি বিরোধীদের অন্যতম প্রধান মুখ। শুনেছি, নিজের এলাকাতেও বেশ জনপ্রিয়। এই কঠিন পরিস্থিতিতে একজন বাম বিধায়ক ২৮ হাজার ভোটে জিতছেন, স্যালুট জানাতেই হয়।

তাঁকে ভাল লাগে, কারণ তিনি আমাদের মনের কথা বুঝতে পারেন। সেই কথা বিধানসভায় তুলে ধরেন। অবাক লাগে, তিনি যেটা সহজে বুঝতে পারেন, বাম নেতৃত্ব তা কেন বুঝতে পারে না। মদ যে সমাজের নানারকম ক্ষতি করছে, এই সহজ সত্যিটা বাম নেতৃত্ব এতদিনেও বুঝে উঠতে পারলেন না ? এতদিন বিধানসভায় তুলে ধরা হয়নি কেন ? এই দাবিতে আন্দোলন হয়নি কেন ?
ভিক্টরের এই দাবি অত্যন্ত সময়োপযোগী। অধিকাংশ পরিবার ভেঙে যাচ্ছে এই মদের জন্য। যাবতীয় অসামাজিক কাজের উৎস হল এই মদ। ভিক্টর ঠিকই বলেছেন, ছোট ছোট শহরে এর প্রকোপ আরও বেশি। বেকার ছেলের সামনে চাকরি নেই। মদ আছে আর ফেসবুক আছে। এই নেশা থেকে নিষ্কৃতির কোনও উপায় কি নেই ?
মানছি, মদ থেকে রাজস্ব আসে। কিন্তু সেটাই কি শেষ কথা ? নীতীশ কুমার তো চ্যালেঞ্জ নিতে পেরেছেন। তাহলে মমতা পারবেন না কেন ? বাম নেতারাই বা মদ নিষিদ্ধ করার দাবিতে আগে সোচ্চার হননি কেন ?
ভাবতে ভাল লাগছে, ভিক্টরের দাবিকে সমর্থন করেছেন সুজন চক্রবর্তী, আব্দুল মান্নান, মানস ভুঁইয়ারা। এই দাবিতে আরও অনেক মানুষকে একজোট করতে হবে। আমি চাই, এই লড়াই হোক ভিক্টরবাবুর নেতৃত্বে। তিনিই এই লড়াইয়ের বিশ্বাসযোগ্য মুখ হতে পারেন।
