নন্দ ঘোষের কড়চা।।
(কন্যাশ্রী, যুবশ্রীর পর শুভশ্রী। বছর শেষে শিরোনামে এই নায়িকা। কেন তাঁকে নিয়ে এই বিতর্ক। অনেকেই তাঁর পাশে দাঁড়াচ্ছেন। কিন্তু নন্দ ঘোষ হাঁটলেন উল্টো রাস্তায়। তিনি আবার ফালাকাটা-কান্ডে শুভশ্রীকেই দায়ী করলেন। কেন? পড়ুন। )
বাংলা সিনেমার নায়িকা শুভশ্রী, খুব বাড় বেড়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে ভালবাসেন, নানা অনুষ্ঠানে মঞ্চে ডাকেন। তাই তিনি সাপের পাঁচ পা দেখেছেন। সবার সামনে ‘ছোট ছোট ছেলেদের’ সমালোচনা করেছেন। এই অপরাধের ক্ষমা নেই।
এমনিতে শুভশ্রী মেরেকেটে দুটো কি তিনটে হিট সিনেমা উপহার দিয়েছেন। তাতেই নিজেকে মনে করছেন সুচিত্রা সেন। ‘কেউ আমাকে টাচ করবে না’। কেন টাচ করবে না শুনি। অবশ্যই করবে। দিদিমণি তো বলেই দিয়েছেন, দেব আমাদের, শুভশ্রীও আমাদের। আমাদের জিনিসের গায়ে আমরা হাত দেব, তাতে কার বাবার কী?
শুভশ্রী বোধ হয় ভাবছেন, দেব তাঁকে বাঁচাবে। তাঁর ভাবনা ভুল। এমনিতেই দেবের সঙ্গে শুভশ্রীর আগের সেই সম্পর্ক নেই। দেব এখন দিদির কথা ছাড়া এক পা-ও চলেন না। এই যে এতকিছু হল, দেব একবারও শুভশ্রীর সমর্থনে মুখ খুলেছেন? খোলেননি। গোটা টলিউডের কেউ মুখ খুলেছে ? খোলেনি। আসলে, টলিউডের সব দেব-দেবীরা জানেন, এই রাজ্যে কোনও নারী নিগ্রহ হয় না। যা হত, ৩৪ বছর আগে হত। এখন যা হয়, সব ‘সাজানো ঘটনা’। শুভশ্রীরটাও তাই। শুভশ্রীর ভাগ্য ভাল যে কেউ বলেনি, খদ্দেরের সঙ্গে বনিবনা হচ্ছিল না।
তাছাড়া, সত্যিই তো, শুভশ্রীর সঙ্গে কী এমন করা হয়েছে? এর আগে রায়গঞ্জ কলেজে যখন অধ্যক্ষকে মারা হয়, তখন দিদিমণি বলেছিলেন, ছোট ছোট ছেলেরা দুষ্টুমি করেছে। রায়গঞ্জ কলেজের ছেলেরা ছোট হলে, ফালাকাটা কলেজের ছেলেরাও তো ছোট, নাকি ? যাকে বলে জুভেনাইল। জুভেনাইলদের কোনও শাস্তি হয় না, ক্ষমা করে দেওয়া হয়।
এই রাজ্যের দিদিমণি ক্ষমার প্রতীক। তাপস পাল ঘরে ছেলে ঢুকিয়ে দেবে বলেছিল। দিদিমণি বলেছিলেন, ‘আমি কি ওকে মারব?’ শুভশ্রীর গায়ে কটা ছোট ছোট ছেলে হাত দিয়েছে, ঘরে তো ঢোকেনি। সরকার কি ওদের মারবে?
শুভশ্রী এসব না বুঝে ভরা হাটে হাঁড়ি ভাঙতে গেলেন। ওরে, বোকা মেয়ে, তুই যদি দিল্লিতে অপমানিত হতিস, তাহলে মা মাটি মানুষ তোর পাশে দাঁড়াত। ডেরেক ওব্রায়েনরা সংসদ উত্তাল করে দিত। এ রাজ্যে কেউ তোর পাশে দাঁড়াবে না। সামনের বিধানসভা ভোটে সবাই টিকিট পাবে, তুই পাবি না।
ধিক শুভশ্রী, ধিক। মা মাটি মানুষের গায়ে কাদা ছেটানোর ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হবেই। শ্রীকান্ত মোহতার কাছে আবেদন, শুভশ্রীকে যেন আগামী দিনে কোনও সিনেমায় চান্স না দেওয়া হয়।
(এই লেখাটি লিখেছেন প্রসূন বসু। আপনিও হয়ে উঠতে পারেন নন্দ ঘোষ। কলম ধরতে পারেন সমসাময়িক কোনও ঘটনা নিয়ে। এটা একটু সিরিয়াস লেখা। সব লেখা সিরিয়াস হতে হবে, এমন কোনও শর্ত নেই। মজার ছলেও লেখা যেতে পারে। শব্দ সংখ্যা আনুমানিক ৩০০। লেখা পাঠানোর ঠিকানাঃ bengaltimes.in@gmail.com)