স্মৃতিটুকু থাক
আর কয়েকদিন পরেই বইমেলা। আমার কিছু পুরনো স্মৃতি মনে পড়ে যাচ্ছে। স্মৃতিটুকু থাক বিভাগে তা ভাগ করে নেওয়া যাক। নয়ের দশকের গোড়ায় কলেজ জীবনে আমাদের সঙ্গে একটি মেয়ে পড়ত। নামটা বলে তাকে আর বিড়ম্বনায় ফেলতে চাই না। মেয়েটির প্রতি আমার একটা দুর্বলতা ছিল। মেয়েটিরও বোধহয় ছিল। কিন্তু কেউ কাউকে কিছু বলতে পারিনি। পরীক্ষার পরই বোধ হয় তার বিয়ে হয়ে যায়। আর কোনও যোগাযোগ ছিল না। বছর পাঁচেক আগে হঠাৎ বইমেলায় দেখা। সঙ্গে এক পুরুষ, সম্ভবত তার কর্তা। আমি দেখেই চিনতে পারলাম। মনে হয় সে–ও চিনতে পারল।
থমকে দাঁড়াল। কিন্তু তার কর্তা হনহন করে হেঁটে চলেছে। মেয়েটি কিছুটা দ্বিধায়। বরের সঙ্গে সঙ্গে যাবে, নাকি আমার সঙ্গে কথা বলবে! বরের কাছে কী বলে পরিচয় করাবে! আমি কিছুক্ষণ পিছু নিলাম। কিন্তু ডাকার সাহস পেলাম না। কী জানি, কী মনে করবে! যদি অস্বস্তিতে পড়ে যায়! মাঝে প্রায় চোদ্দ–পনেরো বছর পেরিয়ে গেছে। সময়ের আয়নায় ধুলো জমে গেছে। তবু পাঁচবছর আগের সেই বইমেলার দুপুরটা বড় বেশি করে মনে পড়ে।
সায়ন্তন দাস, বেলেঘাটা
(স্মৃতিটুকু থাক। সেলিব্রিটি নয়, এই বিভাগ হল পাঠকের মুক্তমঞ্চ। ছোট ছোট মন ছুঁয়ে যাওয়া স্মৃতির কথা উঠে আসুক আপনার কলমে। সেই অনুভূতি ভাগ করে নিন অন্যদের সঙ্গে। চিঠি পাঠানোর ঠিকানা: bengaltimes.in@gmail.com)