বৃষ্টি চৌধুরী
কয়েকদিন আগেই নকল এক কৃত্তিবাস এসেছিল বাজারে। এবার আসছে আসল কৃত্তিবাস। বইমেলার আগেই প্রকাশিত হবে এই জনপ্রিয় সাহিত্য পত্রিকা। সম্পাদনায় সুনীল-জায়া স্বাতী গঙ্গোপাধ্যায়। সহযোগিতায় দুই কবি শ্রীজাত ও অংশুমান কর।
১৯৫৩ তে সুনীল ও কয়েকজন বন্ধু মিলে চালু করেছিলেন কৃত্তিবাস পত্রিকা। আবির্ভাবেই ঝড় তুলেছিল এই পত্রিকা। লিখেছেন নানা প্রজন্মের দিকপাল সাহিত্যিকরা। এই কৃত্তিবাসে হাত ধরেই বাংলা সাহিত্যের আঙিনায় উঠে এসেছেন কত নতুন কবি ও লেখক।
চলার পথে নানা বাধা-বিঘ্ন এসেছে। কখনও হোঁচট খেয়েছে। ধুলো ঝেড়ে আবার উঠে দাঁড়িয়েছে এই পত্রিকা। সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় আর কৃত্তিবাস যেন সমার্থক দুই শব্দ হয়ে দাঁড়িয়েছিল।
সুনীলের মৃত্যুর পর সেই পথ চলা কিছুটা থমকে যায়। সুনীলের স্ত্রী স্বাতীকে সম্পাদক রেখে পত্রিকা প্রকাশের চেষ্টা চালিয়ে যান দুই কবি শ্রীজাত ও অংশুমান । সঙ্গে ছিলেন সুনীলের স্নেহধন্য আরও কিছু কবি।
কিন্তু বিতর্ক দেখা দেয় গত মাসে। ‘নতুন কৃত্তিবাস’ নামে একটি পত্রিকা হঠাৎ করে আত্মপ্রকাশ করে। আর সেই আত্মপ্রকাশের মঞ্চে ছিলেন মন্ত্রী ব্রাত্য বসু, শাসক ঘনিষ্ঠ কবি সুবোধ সরকার। আসল কৃ্ত্তিবাস থাকতে নকল কৃত্তিবাস কেন ? তাঁদের ব্যাখ্যা ছিল, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় নাকি তাঁদের অদৃশ্য সম্পাদক।
কৃত্তিবাসের নামটাকেই হাইজ্যাক করায় সাহিত্য মহলে ক্ষোভের তৈরি হয়। নতুন পত্রিকা তৈরি হতেই পারে। কিন্তু কৃত্তিবাস নাম নিয়েই কেন করতে হবে ? ‘নতুন কৃত্তিবাস’ এ লেখা ‘নতুন’ শব্দটি এতটাই ছোট হরফে, অনেককে হয়ত লেন্স লাগিয়ে দেখতে হবে।
সেই নকল কৃত্তিবাসের পর এবার আসছে আসল কৃত্তিবাস। বইমেলাতেই প্রকাশ পেতে চলেছে। থাকবে সুনীলের কিছু পুরানো লেখা। সদ্যপ্রয়াত কবি উৎপল কুমার বসুকে নিয়ে থাকছে বিশেষ লেখা। এছাড়াও থাকছে নানা আকর্ষণ। আপাতত সেই প্রস্তুতিতেই মগ্ন শ্রীজাত ও অংশুমান।