সীমান্ত চক্রবর্তী
তিন দিন ধরে একটি দলের রাজ্য সম্মেলন হয়ে গেল। বাংলার মিডিয়া জগতকে দেখে বোঝার উপায় নেই। অধিকাংশ কাগজে খবরটাই নেই। এক দুটো কাগজে যদিও বা আছে, আট–দশ লাইনের। চোখেও পড়বে না।
বাঁকুড়ায় হয়ে গেল আর এস পি–র রাজ্য সম্মেলন। আবার রাজ্য সম্পাদক হলেন ক্ষিতি গোস্বামী। কোনও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় চোখে পড়েনি। কাগজগুলোতেও খবরটা প্রায় নেই বললেই চলে। হ্যাঁ, বামেদের সরকার নেই। আগের মতো এই দলের পাঁচজন মন্ত্রী নেই। প্রায় কুড়ি খানা বিধায়ক বা চারজন সাংসদ নেই। আগের মতো সেই সংগঠনও নেই। মিডিয়ার বিচারে গুরুত্ব কমে যাওয়ারই কথা। কিন্তু এতখানি উপেক্ষাও বোধ হয় প্রাপ্য নয়।
এই বাজারেও এই দলের তিন জন বিধায়ক (একজন উন্নয়নের কর্মযজ্ঞে সামিল হলেও সরকারিভাবে তিনি এখনও এই দলেরই)। বিজেপির বিধায়ক কজন। সেই তিনজনই। অথচ, তিনজন বিধায়কের বিজেপি যে পাবলিসিটি পায়, আরএসপি তার এক শতাংশও পায়? বিজেপির সামান্য ব্লকের কর্মসূচিকে ঘিরে যতখানি জায়গা খরচ হয়, আর এস পি–র রাজ্য সম্মেলনকে ঘিরেও সেটা হচ্ছে না। এটা যে মিডিয়া সচেতনভাবে উপেক্ষা করছে, এমনও নয়। আসলে, একটা দলের রাজ্য সম্মেলনের কী গুরুত্ব, সেটাই অনেকে বোঝেন না। যেসব লোকেরা বিভিন্ন কাগজের মাথায় নীতিনির্ধারক হয়ে বসে আছেন, তাঁরা মুখে যতই সবজান্তার ভান করুন, রাজনৈতিক বিচক্ষণতা তেমন আছে বলে মনে হয় না। সেই কারণেই তাঁরা খোঁজও রাখেন না। আর এসবের মর্মও বোঝেন না।