দেখি, কেমন ভূমিকম্প হয়

নন্দ ঘোষের কড়চা

কত বছর বয়স হলে সাবালক হয় ?‌ আমি জানি, অনেকেই বলবেন, আঠারো। কিন্তু কেউ কেউ আঠারো তো দূরের কথা, চল্লিশ পেরিয়ে যাওয়ার পরেও নাবালক থেকে যায়। উদাহরণ?‌ কেন, আমাদের রাহুল গান্ধী।

তিনি নাকি মুখ খুললেই সংসদে ভূমিকম্প হয়ে যাবে। নিজের সম্পর্কে অনেকেরই ভ্রান্ত ধারণা থাকে। এই ছোকরা দেখছি সবাইকে ছাপিয়ে যাচ্ছে। বলি, দশ বছর তো পার্লামেন্টে হয়ে গেল। কী এমন ভূমিকম্পটা হয়েছে, শুনি!‌ যে ভাষণ দিয়েছেন, পাড়ার পল্টুদা বা জগাইদা চায়ের দোকানে তার থেকে ঢের ভাল বলে।

rahul soniya
এত তাঁর রিসার্চ টিম। রিসার্চের নামে অষ্টরম্ভা। যাদের মাইনে দিয়ে পুষছেন, তাঁরাও নিকম্মা। আর যার জন্য ভাষণ লেখা হচ্ছে, তিনিও শূন্য কলসী। কমতে কমতে কংগ্রেস ৪৪ এ এসে ঠেকেছে। তা সত্ত্বেও কংগ্রেসের বেঞ্চে তাঁর থেকে অন্তত দশজন ভাল বক্তা আছেন। গান্ধী পরিবারের ট্যাগলাইনটুকু ছাড়া বলার মতো আর কিছুই নেই। জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার একশো মাইলের মধ্যেও তিনি আসেন না।
নোটবাতিল নিয়ে রোজ কিছু না কিছু বলছেন। মুখের সামনে একগুচ্ছ টিভি চ্যানেলের ব্যুম। যা বলছেন, বুদ্ধির কোনও ছাপ নেই। গড়পড়তা কিছু কথা। টিভিতে যে বুদ্ধিজীবীরা বসে, তারা প্রায় সবাই এইসব কথা দিনের পর দিন বলে চলেছে। অথচ, রাহুল গান্ধী বলে কথা। সবাই তাঁকে তুলে ধরতে ব্যস্ত। লোকসভা, রাজ্যসভা রোজ মুলতুবি। হই হল্লা লেগেই আছে। সেসব থামানোর কোনও উৎসাহ নেই। রোজ রোজ ভন্ডুল করে সবাই বাইরে এসে রোদ পোয়াচ্ছেন। আর তাঁদের নেতৃত্বে রাহুল। ওই রোদ পোয়ানোই হবে। এর বেশি কিছু হবে না। আরে বাপু, বাইরের রোদটা যদি এতই ভাল লাগে, তাহলে সংসদে যেতে হবে কেন ?‌ অনেক ফাঁকা মাঠ পড়ে আছে।

যেমনি স্পিকার দিদিমণি, তেমনি সরকার। তাঁরা কেন যে এত ভয় পাচ্ছেন কে জানে!‌ তাঁরাও কি বিশ্বাস করেন, রাহুল মুখ খুললেই ভূমিকম্প হবে?‌ সবই সঙ্গ দোষ। রাহুল গান্ধীকে প্রতিপক্ষ মনে করে এঁদেরও বুদ্ধি ভোঁতা হয়ে গেছে।

Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *