ঝটিকা সফরে মাইথন, পাঞ্চেত

সৌর্যজিৎ চৌধুরি
বর্ষা এলে বাঙালি কেমন ঘরকুনো হয়ে যায়। সে কোথাও বেরোতে চায় না। অথচ, এই বর্ষায় কত ভালো ভালো জায়গা আছে।
মানছি, বর্ষায় পাহাড় বা জঙ্গলে গেলে অনেক ঝামেলা। ধস নামতে পারে। অনেক জায়গায় অনুমতি মিলবে না। কিন্তু বর্ষায় যদি জলের জায়গায় যাওয়া যায়, তাহলে কেমন হয় ? এই ভেবে এই লম্বা ছুটিতে বেরিয়ে পড়েছিলাম মাইথন।

maithon two

টানা পাঁচদিন ছুটি। এই ছুটিটাকে কাজে লাগালাম। দুদিন মাইথন, একদিন পাঞ্চেত। সবমিলিয়ে ট্যুরটা মন্দ হল না।
মাইথন কীভাবে যেতে হয়, অনেকেই জানেন। বরাকর থেকে যেতে পারেন। অনেকে কুমারডুবি স্টেশনে নেমেও অটো নিয়ে নেন। আমরা অবশ্য আসানসোলে নেমে বাসে গিয়েছিলাম। এটাও বেশ সহজ একটা রুট। মাইথনে থাকার বেশ কয়েকটা হোটেল আছে। তবে সেরা ঠিকানা অবশ্যই মজুমদার নিবাস। একেবারে ড্যামের উপরেই। ডিভিসি অফিস থেকে (উল্টোডাঙ্গা) আগেই বুকিং করা ছিল। তাই সমস্যা হয়নি। চাঁদ পাইনি। পাওয়ার কথাও নয়। কিন্তু দুদিন বৃষ্টি পেয়েছি। বেশ চুটিয়ে সেই বৃষ্টি উপভোগ করেছি।

maithon

একদিন গেলাম পাঞ্চেত। মাইথন থেকে অটো ভাড়া করে পৌঁছে গেলাম। অনেক খোলামেলা। তেমন ভিড়ভাট্টা নেই। পরিচিত একজনকে ধরে ডিভিসি গেস্ট হাউস পেয়ে গেলাম। ড্যাম থেকে অনেকটা। তবে সেই মেঠো পথে হাঁটতে বেশ ভালই লাগছিল। এখানে অবশ্য বৃষ্টি ছিল না। তবে মেঘলা একবা আবহাওয়া সারাক্ষণ ছিল।
সবমিলিয়ে তিনদিন দারুণ কাটল। চোখের সামনে শুধু জল। অনেকটাই ভরে উঠেছে। মাইথনে নৌকা ভ্রমণও হল। একদিকে জল, একদিকে জঙ্গল। পরিবেশটা সত্যিই বেশ উপভোগ্য। অনেকে দূরে দূরে যান। এটা নামেই ভিনরাজ্য। আসলে, ঘরের পাশে আরশিনগর। দুদিন বা তিনদিনের ছুটি পেলে বেরিয়ে পড়ুন, ভালই লাগবে।

Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.