বেঙ্গল টাইমস প্রতিবেদনঃ অনেকেই জানেন না। তবে দলের বৃত্তে থাকা মানুষেরা জানেন, আজ অশোক ঘোষের জন্মদিন। সকাল থেকেই ফোনের বন্যা। কোচবিহার থেকে পুরুলিয়া, চুঁচুড়া থেকে মুর্শিদাবাদ- নানা জায়গা থেকে আসছে ফোন। চেষ্টা করছেন নিজেই সব ফোনগুলো ধরতে। সবাই শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন, তিনিও পাল্টা শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন।
কেউ ফুল নিয়ে, কেউ মিস্টি নিয়ে সকালেই হাজির দলীয় অফিসে। তবে সবথেকে ভাল উপহারটা বোধ হয় তুলে দিলেন তরুণ শিল্পী অনির্বাণ ঠাকুর। বেশ কয়েক রাত জেগে এঁকেছিলেন বর্ষীয়াণ নেতার ছবি। কিন্তু সাহস করে তুলে দিতে পারেননি। আজ, জন্মদিনে সেই সঙ্কোচের বেড়া ভেঙে হাজির হয়েছিলেন প্রবীণ নেতার কাছে। তুলে দিলেন নিজের আঁকা সেই ছবি।
ছবিটি হাতে নিয়ে প্রবীণ নেতা বললেন, ‘আমি তো চোখে দেখতে পাই না। তাই হাত দিয়েই দেখার চেষ্টা করছি। পরম মমতায় হাত বোলালেন সেই ছবির ফ্রেমের উপর। হাত রাখলেন তরুণ শিল্পীর মাথায়। বললেন, আরও বড় হও। তারপরই পরম স্নেহে বললেন, ‘আমি তো গৃহবন্দী। বাইরে কোথাও যেতে পারি না। মাঝে মাঝে এসো, ভাল লাগবে। আজ তো অনেক লোকজন আছে। ভাল করে কথা বলতে পারলাম না। সময় করে একদিন এসো কিন্তু।’
প্রবীণ কিংবদন্তীর পরম স্নেহে আপ্লুত শিল্পীও, ‘অনেকের মুখ এঁকেছি। কিন্তু অশোক ঘোষের ছবি আঁকার সময় অনেক সতর্ক থেকেছি। অনেক যত্ন নিয়ে ছবিটা এঁকেছি। চেষ্টা করেছি, যতটা নিখুঁত করা যায়। এই মাপের একজন মানুষের হাতে ছবি তুলে দিতে পারলাম ভেবেই রোমাঞ্চিত হচ্ছি।’