প্রসূন বসু
রাত বাড়ছে, চোখে ঘুম নেই। অনেকেই মগ্ন ফেসবুকে। মনের সুখে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠাচ্ছেন। অনেক বন্ধু, যাদের আপনি চেনেন না। এমনকি সে পুরুষ না মহিলা, তাও জানেন না। অথবা আপনার কাছেও রিকোয়েস্ট এল। আপনি মহিলার রিকোয়েস্ট দেখে সাতপাঁচ না ভেবে অ্যাক্সেপ্ট করলেন। বুঝতেও পারলেন না, সেটি ফেক আই ডি।
কীভাবে চিনবেন যাঁকে বন্ধু ভাবছেন, তিনি সত্যিই বন্ধু ? নাকি ফেক আই ডি-র চক্করে পড়েছেন। কতগুলি বিষয়ে একটু নজর রাখুন।
১) যাঁকে বন্ধু ভাবছেন, আগে তার প্রোফাইলটিতে ভাল করে চোখ বোলান।
২) দেখুন, কতদিনের প্রোফাইল। যদি পুরানো হয়, ভরসা করতে পারেন। নতুন হলে একটু খটকা থেকেই যায়।
৩) অ্যালবাম দেখুন। শুধুমাত্র একটি ছবি হলে অন্য জায়গা থেকে নেওয়া হতে পারে। দেখুন পরিবারের সঙ্গে ছবি আছে কিনা। পরিবারের সঙ্গে ছবি থাকলে বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়ে।
৪) যাকে বন্ধু ভাবছেন, তার কজন বন্ধু ? তারা কারা ? যদি দেখেন হাজার পাঁচেক বন্ধু, এড়িয়ে চলাই ভাল। জেনে রাখুন, তার কাছে আপনার কোনও গুরুত্ব নেই।
৫) যিনি রিকোয়েস্ট পাঠালেন, তিনি কি আপনার চেনা কেউ? নাকি অচেনা ? অচেনা হলে এত লোক থাকতে হঠাৎ আপনাকে রিকোয়েস্ট পাঠালেন কেন ?
৬) কোনও বন্ধু বা আত্মীয় আপনাকে পরীক্ষা করছে না তো ? মেয়ের নামে প্রোফাইল করে আপনার সঙ্গে মজা করছে না তো ?
৭) টাইম লাইনে যান। তার নিজের পোস্ট বেশি নাকি অন্যদের ? তার ছবিতে কারা লাইক মারছে ?
৮) ছবি বা পোস্টের তলায় যে কমেন্টস আছে, সেখানেও চোখ রাখুন।
৯) কী কী বই পড়ে, কী সিনেমা প্রিয়, কোন কোন গ্রুপে আছে, লক্ষ করুন। টাইম লাইনের সঙ্গে সেই রুচি মিলছে কিনা মনে মনে ভাবুন।
১০) সবথেকে বড় কথা, আপনার রুচির সঙ্গে সেই অজানা বন্ধুর রুচিবোধ মিলছে কিনা, সেটাও দেখে নিন।
যদি মনে হয়, সে বন্ধু হওয়ার যোগ্য, তবেই বন্ধুত্ব করুন, তবেই সাড়া দিন। নইলে এমন ভুয়ো বন্ধু জুটিয়ে লাভ কী? নিজেকে হাসির খোরাক নাইবা করলেন। তার থেকেও বড় কথা, নিজের মূল্যবান সময় নাইবা নষ্ট করলেন।