ওঁরা ফিরে গেলেন সাতাত্তরে

বেঙ্গল টাইমস প্রতিবেদনঃ আর ক’দিন পরেই শহরে পা রাখবেন ফুটবল সম্রাট পেলে। ৭৭ এর পর আরও একবার। সে’বার অবশ্য বল পায় মাঠে নেমেছিলেন ব্রাজিলীয় কীংবদন্তী। খেলেছিলেন মোহনবাগানের সঙ্গে। ৭৭ এর সেই দলের প্রতিটি সদস্যর কাছে আজও সেই দিনটা স্মরনীয়, সারাজীবনের পাথেয়।
এবারও ১২ তারিখ পেলের সঙ্গে একই মঞ্চে দাঁড়াবেন তারা। তবে তার আগে ৭৭ এর সেই দলকে এক সঙ্গে আনলো এনএসএইচএম। দক্ষিন কলকাতায় একটি অনুষ্ঠানে নিজেদের সেই স্মৃতি আরও একবার মানুষের সঙ্গে ভাগ করে নিলেন সুব্রত ভট্টাচার্য, সুভাষ ভৌমিক, শ্যাম থাপা, প্রদীপ চৌধুরীরা। উঠে এল জানা-অজানা অনেক গল্প।

pele5

প্রদীপ চৌধুরীকে যেমন জিজ্ঞেস করা হল, সে’দিন বক্সের মধ্যে ঠিক কী ঘটিয়েছিলেন তিনি, যে কসমস পেনাল্টি পেল? প্রদীপ বললেন, “কিছুই না। পেনাল্টির কারন জানতে চাইলে রেফারি নাকি বলেন বিদেশি দল হারছে বাজে দেখায়, তাই পেনাল্টি”।
সুভাষ ভৌমিক সম্ভবত থাকতে পারছেন না ১২ তারিখের অনুষ্ঠানে, তখন তিনি গুয়াহাটি এফ সি’র দায়িত্ব নিয়ে থাকবেন আসামে। তাই এ’বারেও পেলের সঙ্গে তার ছবি তোলার স্বপ্নটা বোধয় পূরণ হবে না। সে’বার ছবি তুলতে গিয়ে নাকি খুব ধমক খেয়েছিলেন সিনিয়র সতীর্থ হাবিবের কাছে। মাঠে পেলেকেও এক চুলও জমি ছাড়তে যে নারাজ ছিলেন বড়ে মিঞা।

pele6
বারবার নস্ট্যালজিক হয়ে পড়ছিলেন বিদেশ বোস, শিবাজী ব্যানার্জি, শ্যাম থাপারাও। প্রদীপ চৌধুরীর আজও মনে আছে জাম্বিয়ায় খেলতে গিয়ে জানতে পারেন ওই দেশের লোকেরা ভারতীয় ফুটবল সম্পর্কে কিছু না জানলেও শুধু জানে ভারতের একটা দল পেলের কসমসের বিরুদ্ধে খেলেছিল।
এমন কত টুকরো টুকরো স্মৃতি ছড়িয়ে তাঁদের ওই ম্যাচটাকে ঘিরে! যা ভোলার নয়। ৩৮ বছর পার করেও যা মনে হয়, এই তো যেন কদিন আগের কথা।

Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *