এমন বিজ্ঞাপন যেন ঝিনুকের মাঝে মুক্তো

রাহুল বিশ্বাস

গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই বিজ্ঞাপনটি ছাপা হচ্ছে। ছাপা হচ্ছে এই সময় সংবাদপত্রের পাতায়। প্রতি রবিবার পাত্রপাত্রী কলামে। কিন্তু সহস্র খবর, বিজ্ঞাপনের ভিড়ে চাপা পড়ে যাচ্ছে হীরককুঁচির মতো উজ্জ্বল সেই বিজ্ঞাপন।

বিজ্ঞাপন মানেই নিজের ঢাক নিজে পেটানো। কোম্পানি নিজের পণ্যের ঢাক পেটায়, হাসপাতাল-স্কুল-কোচিং সেন্টার নিজের পরিষেবার ঢাক পেটায়, জ্যোতিষী-বাবাজি নিজের অলৌকিক ক্ষমতার ঢাক পেটায়। আজকাল রাজনৈতিক দলগুলিও এই ঢাকির দলে নাম লিখিয়েছে।

media-samachar2

এর বাইরে সংবাদপত্রগুলি নিজেরাও ঢাক পেটায়। বিজ্ঞাপন দিয়ে দাবি করে, আমাদের সার্কুলেশন সবার ওপরে। যে বিজ্ঞাপনটির কথা বলা হচ্ছে, সেতিও এই সময়ের নিজস্ব বিজ্ঞাপন। কিন্তু তাতে ঢাক পেটানো নেই, আছে সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতা।
অনেক শতাব্দী আগে আমাদের দেশের রাজারা বিবাহের মাধ্যমে মৈত্রীর রীতি চালু করেছিলেন। সেই রীতি চালু ছিল মুঘল আমলেও। শুধু অন্য রাজ্যের সঙ্গে নয়, অন্য ধর্মের সঙ্গেও বৈবাহিক মৈত্রী গড়ে তোলা হত।

কিন্তু বর্তমান ভারতে ভিনধর্মে তো নয়ই ভিনজাতেও বিবাহ বিরল। অথচ পরস্পরের মধ্যে বিবাহের রীতি চালু থাকলে, জাতপাত বা ধর্মের ভেদাভেদ অনেকটাই হ্রাস পেত। সেই মৈত্রী রচনাতেই উদ্যোগী হয়েছে এই সময়।

এই সেই বজ্ঞাপন। যাঁদের নজর এড়িয়ে গেছে, তাঁরা পড়ে দেখতে পারেন।
এই সেই বজ্ঞাপন। যাঁদের নজর এড়িয়ে গেছে, তাঁরা পড়ে দেখতে পারেন।

তাদের বিজ্ঞাপনে বলা হচ্ছে, যদি কেউ ‘জাত কোনও বাধা নয়’ শিরোনামে বিয়ের বিজ্ঞাপন দেন তাহলে তাঁকে ২৫ % ছাড়

দেওয়া হবে। আর ‘ধর্ম কোনও বাধা নয়’ শিরোনামে বিজ্ঞাপন দিলে দেওয়া হবে ৫০% ছাড়।
নিজের ভালর জন্য বিজ্ঞাপন অনেকেই দেয়, সমাজের ভালর জন্য বিজ্ঞাপন কজন দেয়? এই বিজ্ঞাপন দেওয়ার জন্য এই সময়কে কুর্নিশ। যারা জাত-ধর্মের ঊর্ধ্বে উঠে বিয়ে করতে এগিয়ে আসবেন তাদেরও আগাম কুর্নিশ।

 

(বেঙ্গল টাইমসে শুরু হয়েছে নতুন বিভাগ। মিডিয়া সমাচার। মিডিয়া সবার কথা তুলে ধরে। কিন্তু তাদের কথা আড়ালেই থেকে যায়। এখানে থাকবে মিডিয়া সংক্রান্ত, মিডিয়ার সঙ্গে জড়িয়ে থাকা মানুষ সংক্রান্ত নানা প্রতিবেদন। কোনও মিডিয়া সম্পর্কে কোনও মতামত থাকলে আপনারাও তা লিখে পাঠাতে পারেন। ঠিকানাঃ bengaltimes.in@gmail.com )

Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *