সুমিত চক্রবর্তী
এক ফেলুদায় রক্ষে নেই। এ একেবারে ডবল ফেলুদা। কনসেপ্টটা মন্দ নয়। একটা ছবি টানা আড়াই ঘণ্টা দেখতে গেলে অনেকেরই ধৈর্য্যচ্যূতি ঘটে যায়। তাছাড়া, গোয়েন্দা গল্পে সেই সাসপেন্স ধরেও রাখা যায় না । সেদিন থেকে দুই হাফে দুই ফেলুদা ব্যাপারটা অভিনব।
জটায়ুবাবু নেই। তরকারিতে নুন না থাকলে যেমন হয়, ফেলুদায় জটায়ু না থাকলেও তেমনই। একটু কমিক রিলিফ দরকার। সেটাও একটা অন্যতম আকর্ষণ। কিন্তু দুটোর কোনওটাতেই সেই কমিক রিলিফ নেই। একেবারেই টানটান। প্রথম গল্প সমাদ্দারের চাবি। দ্বিতীয় গল্প গোলকধাম রহস্য। সিনেমার নাম ডবল ফেলুদা হলেও গল্প দুটোর নাম বদল করেননি পরিচালক সন্দীপ রায়। তাছাড়া, গল্পে বিশেষ বদলও ঘটাননি। তাই যাঁরা পড়েছেন, তাঁদের মূল গল্পের সঙ্গে মেলাতে খুব একটা সমস্যা হবে না।
ফেলুদার ভূমিকায় আবার ফিরে আসা সব্যসাচীকে কেমন লাগবে, তা নিয়ে কিছুটা দ্বিধা ছিল। কিন্তু খুব একটা বেমানান লাগল না। বয়সের ছাপ তেমন পড়েনি, তাছাড়া সব্যসাচীর কথাবার্তা, আচরণ, হাঁটাচলার মধ্যে একটা বুদ্ধির ছাপ আছে। তাই বেশ মানিয়ে যায়। তোপসের ভূমিকায় সাহেবকেও মানিয়ে গেছে। এই জুটিকে আরও তিন–চার বছর ব্যবহার করাই যায়।
একটি ছবিতে উঠে এসেছে সঙ্গীতের নানা দিক। অন্য ছবিতে উঠে এসেছে বিজ্ঞান, আবিস্কার। প্রথমটিকে ব্রাত্য বসু, শাশ্বতকে নেওয়া হয়েছে। দ্বিতীয়টি তুলনায় অনেক বেশি তারকাখচিত। এখানে ধৃতিমান, ভাস্কর, পরাণ, বিশ্বজিৎ, রাজেশ, অর্জুন— অনেক চেনামুখ। প্রায় প্রত্যেককেই সুন্দরভাবে ব্যবহার করেছেন সন্দীপ রায়। বড়দিনের আবহে ছবিটা দেখে আসুন। মন্দ লাগবে না, হলফ করেই বলা যায়।