প্রতি রবিবার এলেই কলকাতার বিভিন্ন এলাকায় বিভিন্ন পরীক্ষা হয়। কোনওটা কেন্দ্রীয় সরকারের, কোনওটা রাজ্য সরকারের। কোনওটা আবার কোনও বিশ্ববিদ্যালয়ের। দূরদূরান্ত থেকে অনেক মেধাবী ছাত্রছাত্রী সেই পরীক্ষা দিতে আসেন। সঙ্গে আসেন তাঁদের অভিভাবকরাও।
ছেলে বা মেয়ে হয়তো পরীক্ষা কেন্দ্রে ঢুকে যান। কিন্তু তারপর থেকেই অভিভাবকদের সীমাহীন দুর্ভোগের মুখে পড়তে হয়। কোথাও কোনও বসার জায়গা নেই। ঠায় রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। কখনও মাথায় চড়া রোদ। কখনও আবার বৃষ্টির আশঙ্কা। ফলে, ছেলে–মেয়ের পরীক্ষা মানেই অভিভাবকদের কাছে এক আতঙ্ক। আবার কোচবিহার বা পুরুলিয়া থেকে মেয়েদের একাও পাঠানো যায় না।
যাঁরা পরীক্ষা আয়োজন করছেন, তাঁদের জন্য কিছু নির্দিষ্ট গাইডলাইন তৈরি করাটা খুব জরুরি। তাঁরা কি সঙ্গে আসা অভিভাবকদের বসার ব্যবস্থা করতে পারেন না? পরীক্ষা একদিকে হোক, অন্যদিকে দুটি বা তিনটি বড় ঘরে অভিভাবকদের বসার ব্যবসথা করাই যায়। নার্সিংহোমে তো এমন ব্যবস্থা থাকে, তাহলে পরীক্ষা কেন্দ্রেই বা করা যাবে না কেন? দরকার হলে ঘণ্টা পিছু সামান্য ভাড়াও নেওয়া যেতে পারে। কিন্তু বয়স্ক অভিভাবকদের কথাও মাথায় রাখাটা জরুরি। এই ব্যাপারে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
