Categories খেলা

ফ্যান পার্ক!‌ কই, কলকাতা তো পারেনি

উত্তম জানা

বাংলার ফুটবল বা বাংলার ক্রিকেট প্রায় পুরোটাই যেন কলকাতা কেন্দ্রিক। বড়জোর আশেপাশের জেলাগুলিকে কিছুটা জড়ানো হয়। উত্তরবঙ্গ বা দক্ষিণবঙ্গ দুয়োরানি হয়েই থেকে যায়।

আইএসএল তো দূরের কথা, মাঝারিমানের কোনও টুর্নামেন্টও জেলায় আয়োজনের কথা ভাবা হয় না। জেলাগুলি শুধু মহকুমা লিগ আর জেলা লিগ নিয়েই সন্তুষ্ট থাকুক। অথচ, জেলার দর্শকদের উন্মাদনা কলকাতার থেকে মোটেই কম নয়। এমনকী জেলা থেকে ভাল মানের প্রতিভাও উঠে আসতে পারে। কিন্তু এইসব ব্যাপারে আইএফএ বা সিএবি–‌কে খুব একটা তৎপর বলে মনে হয় না।

কলকাতা লিগকে মাঝে মাঝে বারাসত বা কল্যাণীতে নিয়ে যাওয়া হয়। কখনও হাওড়া স্টেডিয়াম, কখনও নৈহাটিতেও হয়। কিন্তু এই পার্শ্ববর্তী দু–‌তিনটি জেলা ছেড়ে একটু দূরবর্তী জেলায় নিয়ে যাওয়া যায় না!‌ দক্ষিণবঙ্গে মধ্যে বর্ধমান, দুর্গাপুর, আসানসোল, মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পুরুলিয়ায় কিছু ম্যাচ দেওয়া যায় না!‌ বা উত্তরবঙ্গের শিলিগুড়ি, আলিপুরদুয়া, কোচবিহার, বালুরঘাট, রায়গঞ্জে!‌ এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় মোহনবাগান বা ইস্টবেঙ্গলের বিভিন্ন গ্রুপে চোখ রাখলেই বুঝতে পারবেন, কলকাতার থেকে জেলার সমর্থক অনেক বেশি। এইসব জেলায় যদি মোহনবাগান বা ইস্টবেঙ্গল খেলতে যায়, রীতিমতো উন্মাদনা তৈরি হবে। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে ব্যাপক প্রচারও সম্ভব। এমনকী কলকাতার সমর্থকরাও এই সুযোগে একদিন সেই জেলা থেকে ঘুরে আসতেই পারেন।

এবার কল্যাণী বুঝিয়ে দিল, তারা সফলভাবে ডার্বি আয়োজনে সক্ষম। সবথেকে ভাল লাগল ফ্যান জোন। কই, যুবভারতীর আশেপাশে তো এমন অভিনব উদ্যোগ দেখা যায় না!‌ কল্যাণী এবার কলকাতাকেও যেন অনেক কিছু শিখিয়ে দিল। শুধু মাঠের লড়াইয়ে ফুটবল আকর্ষণীয় হয় না। মাঠের বাইরে দর্শকদেরও বড় একটা ভূমিকা থাকে। জেলার দর্শকদের কার্যত ব্রাত্য রেখে কলকাতার ফুটবল এগোতে পারে না। দুই বড় ক্লাবের কাছে অনুরোধ, আপনারা জেলাতেও দল পাঠান। কখনও প্রাক্তনদের নিয়ে, কখনও বর্তমানদের নিয়ে জেলায় মাঝে মাঝেই প্রীতি ম্যাচ হোক। ফুটবলের উন্মাদনা কিছুটা হলেও ফিরে আসবে।

 

Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *