সোহম সেন
প্রথমে ইন্টার কন্টিনেন্টাল কাপ। তারপর সাপ কাপ। পরপর দুই প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন ভারত। ফুটবলে ভারতের সাফল্যকে আমরা কখনই প্রাপ্য গুরুত্ব দিতে চাই না। ক্রিকেটে সামান্য সাফল্য যেভাবে সেলিব্রেট করি, ফুটবলে কখনই সেটা হয় না। আমরা রাত জেগে বিশ্বকাপ দেখি, ইওরো কাপ দেখি, ক্লাব ফুটবল দেখি। অথচ, যখনই ভারতীয় ফুটবল দেখার প্রশ্ন আসে, তখনই কেমন যেন উদাসীন থাকি। ভারতের ফুটবল ম্যাচ দেখছি বললে হয়ত সমাজে কল্কে পাওয়া যায় না।
ভারত যতই ঘরের মাঠে খেলুক, যতই কিছু দুর্বল দেশের বিরুদ্ধে খেলুক, তারপরও এই সাফল্যকে ছোট করার কোনও জায়গা নেই। লেবানন কিন্তু র্যাঙ্কিংয়ে ভারতের থেকে বেশ কিছুটা এগিয়ে। দুটো টুর্নামেন্টেই কিন্তু লেবানন ছিল। সুনীল ছেত্রিদের লড়াইকে ছোট করে দেখার কোনও জায়গা নেই। এবারই ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে ভারত প্রথম একশোতে চলে এল। এটা কিন্তু কম বড় কৃতিত্ব নয়। তাছাড়া, দেশের হয়ে সর্বোচ্চ গোলদাতার নিরিখে মেসি, রোনাল্ডোদের সঙ্গে পাল্লা দিচ্ছেন আমাদের সুনীল ছেত্রি, এটা কি কম গৌরবের? আরও তো অনেক দেশ আছে, অনেক তারকা আছেন। তারা তো সারা বছরই খেলেন। সুনীল কিন্তু এক এক করে তাঁদের সবাইকে ছাপিয়ে গেছেন। কিন্তু বিরাট কোহলিদের নিয়ে আমরা যতটা মাতামাতি করি, তার পাঁচ শতাংশও হয়ত সুনীল ছেত্রিকে নিয়ে করি না।
আসলে, ক্রিকেট খেলে হাতে গোনা কয়েকটা দেশ। ফুটবল সেখানে মহাসমুদ্র। ঋষভ পন্থ দীর্ঘ সাতমাস ব্যাট–বল থেকে হাজার মাইল দূরে থাকলেও র্যাঙ্কিংয়ে এখনও প্রথম দশেই থেকে গেছেন। এর থেকেই বোঝা যায় ক্রিকেট আসলে কত ক্ষুদ্র পরিসরে রয়েছে। আমাদের দৃষ্টিভঙ্গিটা এবার একটু পরিবর্তন করা দরকার। দেশের ফুটবল সম্পর্কে একটু গর্ব করতে শিখুন। সুনীলদেরও প্রাপ্য মর্যাদা দিন।