নন্দ ঘোষ
ভারত হারল কেন? এখন পাড়ায় পাড়ায় বিশেষজ্ঞের ছড়াছড়ি। যেন তাঁদের মাঠে নামিয়ে দিলেই ২০০ রান পেরিয়ে যে। আর বল হাতে তাঁরা নামলে? ইংল্যান্ডকে একশো রানের আগেই শেষ করে দিত। রোহিত শর্মাটা যে কী! ক্যাপ্টেন্সির কিস্যু বোঝে না। পাড়ায় পাড়ায় এই সবজান্তাদের যদি ক্যাপ্টেন করা হত, এমন বুদ্ধি খাটাত, ইংল্যান্ড কুলকিনারা পেত না।
এত বুদ্ধি এঁরা কোথায় যে রাখেন! রোহিত শর্মার উচিত ছিল, অস্ট্রেলিয়ায় উড়ে যাওয়ার আগে এঁদের সঙ্গে একটু আলোচনা করে যাওয়া। আরে বাপু, তখন না হয় আলোচনা করতে পারোনি। এখন তো প্রযুক্তির যুগ। ভিডিও কলে কথা বলে নিতেই পারত।
সেমিফাইনালের আগে বাংলা কাগজ পড়ুন। আর সেমিফাইনালের পর পড়ুন। এতরকম ভুল পরিকল্পনায় দল চলছে, আগে তো বোঝা যায়নি। সব বোঝা গেল হেরে যাওয়ার পর। ময়দানে একটা চালু কথা আছে, চললে পঞ্চানন, না চললেই পাঁচু। এতদিন ভারত জিতে আসছিল। তাই সবকিছুই ভাল লাগছিল। যেই হারতে হল, ওমনি সবকিছু খারাপ হয়ে গেল। লোকেশ রাহুল আর রোহিত শর্মার ওপেনিং জুটি নাকি ক্লিক করছে না। তাই ওপেনিংয়ে বদল আনা উচিত ছিল। হারার পর কী বেমালুম এমন জ্ঞান দেওয়া হয়ে গেল। অথচ, এই মূল্যবান পরামর্শটা সেমিফাইনালের আগে সেভাবে শোনা যায়নি। যুজবেন্দ্র চাহালের মতো লেগস্পিনারকে কেন খেলানো হল না? এই প্রশ্নটাও জোরের সঙ্গে তোলা হল। এতদিন কেন যে সেভাবে ওঠেনি?
সত্যিই তো রাহুল দ্রাবিড় কোচিংয়ের কী বোঝেন? তিনি যদি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটু চোখ রাখতেন, এইসব বাতেলাগুলো যদি শুনতেন, হয়ত সমৃদ্ধ হতেন। সে খেলার কীই বা বোঝে যে শুধু খেলা বোঝে! নেটে পড়ে থাকলে হবে? চোখ রাখতে হবে ফেসবুকে। বুঝলেন মশাই, ক্রিকেট বলুন, ফুটবল বলুন, কোনওকিছুই আর মাঠে খেলা হয় না। সব হয় ওই ফেসবুকের দেওয়ালে।