রজত সেনগুপ্ত
আইপিএলের বাকি ম্যাচ কোথায় হবে, তা নিয়ে গত কয়েকদিন ধরেই নানা জল্পনা। ভারতে যে হওয়া সম্ভব ছিল না, এটা পরিষ্কার। দুটি বিকল্প খোলা ছিল। ইংল্যান্ড ও সংযুক্ত আরব আমিরশাহি। শেষমেষ আমিরশাহিতেই সিলমোহর পড়ল।
আইপিএল আয়োজন করতে কোনও দেশই পিছিয়ে যাবে না। যে কোনও ক্রিকেট খেলিয়ে দেশ বোঝে আইপিএলের গুরুত্ব কতটা। বাণিজ্যিক সাফল্য তো আছেই। সেইসঙ্গে একটা ঠিকঠাক আইপিএল আয়োজন মানে সেই মাঠের টিআরপি অনেক বেড়ে যাওয়া। অন্যান্য ম্যাচ আয়োজনের ব্যাপারে একলাফে অনেকটা এগিয়ে যাওয়া।
ইংল্যান্ডের চারটি কাউন্টি আগেই এই মর্মে প্রস্তাব দিয়ে রেখেছিল। একজন ক্রিকেটপ্রেমী হিসবে মনে করি, ইংল্যান্ডই ছিল আইপিএল আয়োজনের আদর্শ ভেনু। প্রথমত, ওই সময় ভারত ইংল্যান্ডেই থাকবে। ইংল্যান্ডের ক্রিকেটাররা তো ছিলেনই। অন্যান্য দেশের ক্রিকেটারদের পক্ষেও ইংল্যান্ডে উড়ে আসা তুলনামূলক সহজ। তাছাড়া, ভারত–ইংল্যান্ড টেস্ট সিরিজ কিছুটা এগিয়ে এনে অনায়াসেই সমাধান করা যেত। টেসট সিরিজের পর হাতে অনেকটা সময় থাকত। ওই সময় ইংল্যান্ডের আবহাওয়া দারুণ থাকত। কোনও দলেরই আপত্তি থাকত না। বৃষ্টির আশঙ্কাও প্রায় ছিল না। আইপিএলে বাকি রয়েছে ৩১ টি ম্যাচ। দিনে দুটি করে ম্যাচ খেললে ১৫–১৬ দিনেই হয়ে যাওয়ার কথা।
আইপিএলের পর সেখানেই কোয়ারেন্টিন পর্ব কাটিয়ে ক্রিকেটাররা আসতে পারতেন দুবাইয়ে। সেখানে টি২০ বিশ্বকাপের আগে হাতে কয়েকদিন সময় পাওয়া যেত।
বোর্ড হয়ত সবদিক ভেবেই আমিরশাহিতে আইপিএলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কিন্তু সেই সময় দুবাইয়ে গরম থাকবে সাঙ্ঘাতিক। ওই গরমে আইপিএল খেলার পর টি২০ বিশ্বকাপ। ধকলটা একটু বেশিই হয়ে যাবে।