সায়ন ঘোষ
এশিয়ান ফুটবলের ঘুমন্ত দৈত্য ভারত যে আস্তে আস্তে জেগে উঠছে তা আরও একবার টের পাওয়া গেল। ব্লু টাইগার্সরা রেড ড্রাগনসদের আটকে দিল। সাম্প্রতিক কালে এটিই ভারতীয়দলের সেরা ম্যাচ। এই ম্যাচটিকে ভারতীয় দল ২০১৯ এশিয়ান কাপের প্রস্তুতি ম্যাচ হিসাবে দেখছিল। ফিফা র়্যাঙ্কিংয়ে ৭৬ তম স্থানে থাকা চীনের বিরুদ্ধে দুর্দান্ত ফুটবল উপহার দেয় ভারত। স্টিভন কনস্ট্যানটাইনের প্রশিক্ষনে ভারতীয় দল ৪-৪-২ ছকে খেলা শুরু করে। সুনীল ও জেজে কে সামনে রেখে মাঝমাঠ সাজিয়ে ছিলেন প্রণয় হালদার, উদান্তা সিং, অনিরুদ্ধ থাপা, হোলিচরন নার্জারীকে দিয়ে।
রক্ষণ সামলানোর দায়িত্ব ছিল অধিনায়ক সন্দেশ ঝিংগানের সঙ্গে প্রীতম কোটাল, নারায়ণ দাস, শুভাশিস বোসের উপর। গোলে গুরপ্রীত সিং সান্ধু। প্রথমার্ধে চীনের বিরুদ্ধে দাপটে শুরু করে ভারত। ১৭ মিনিটে ফ্রিকিক থেকে বল পেয়েও সুনীল বল গোলে রাখতে পারেননি। ১৩ মিনিটে প্রীতম কোটালের শট সেভ করেন চাইনিজ গোলকিপার। অপর দিকে ২৪ মিনিটে ওয়ং লির গোল বাঁচান গুরপ্রীত সিং। প্রথমার্ধের পর দ্বিতীয়ার্ধে খেলা আক্রমণ প্রতি আক্রমণের মধ্যে দিয়ে জমে ওঠে। এই পর্বে গোলের নীচে গুরপ্রীত সিং কার্যত প্রাচীর হয়ে ওঠে। একাধিক বার ভারতীয় দলের নিশ্চিত পতন রক্ষা করেন। রক্ষণে চাপ কমাতে নারায়ণের জায়গায় শেষে আনাসকে নামানো হয়। বিশ্বকাপ জয়ী কোচ মার্সেলো লিপ্পির প্রশিক্ষনাধীন চাইনিজ দল শুধু গোল করতে পারেনি গুরপ্রীত সিং এর অনবদ্য গোলরক্ষার জন্য।
অপরদিকে পাল্টা আক্রমণ চালিয়েগেছে ভারতীয় দলও। ম্যাচের অন্তিম লগ্নে জেজের পরিবর্তে নামা ফারুক চৌধুরি যদি একের বিরুদ্ধে এক পরিস্থিতিতে যদি গোল করতে পারতেন তাহলে এই ম্যাচের ফলাফল অন্যরকম হতেই পারত। এই ম্যাচে ভারতীয় দলের পারফরম্যান্স দেখে ২০১৯ এশিয়ান কাপে ভাল ফলের আশা ১৩০ কোটি ভারতবাসী করতেই পারে।