সরল বিশ্বাস
আসিসি–র কাণ্ডকারখানা বোঝা দায়। কখন যে কী সূচি তৈরি করে। আবার নিজেরাই ইচ্ছেমতো সূচি উল্টে দেয়। কী আশ্চর্য, তা নিয়ে কোনও প্রশ্নও ওঠে না।
এবারের টি২০ বিশ্বকাপের কথাই ধরা যাক। কুড়িটি দলকে চারটি গ্রুপে ভাগ করা হয়েছে। একেকটি গ্রুপে পাঁচটি করে দল। দুটি করে উঠবে সুপার এইটে।
সূচিতে ছিল এ১ খেলবে সি১ এর বিরুদ্ধে। অর্থাৎ, এ গ্রুপের যারা শীর্ষে সুপার এইটে তারা খেলবে সি গ্রুপের সেরার সঙ্গে। এ গ্রুপের শীর্ষে ভারত, সি গ্রুপের শীর্ষে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। অথচ, দেখা গেল, ভারত খেলছে আফগানিস্তানের সঙ্গে।
তখনও সি গ্রুপে কারা সেরা, তা নিশ্চিত হয়নি। আফগানিস্তান নেট রানরেটে এগিয়ে, কিন্তু ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে খেলা বাকি। শেষ ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজ জিতলে তারা গ্রুপ শীর্ষে থাকবে। তা সত্ত্বেও আইসিসি থেকে বোর্ড নিজেদের টুইটার হ্যান্ডলে জানিয়ে দল, ভারত খেলবে আফগদানিস্তানের বিরুদ্ধে? কীসের ভিত্তিতে? এর যুক্তিটা কী? কোথাও কোনও ব্যাখ্যা পাওয়া গেল না। পোর্টালগুলিও হয়েছে তেমনি। বোর্ড বা আইসিসি–র টুইটে যা পেল, তার ভিত্তিতেই প্রতিবেদন লিখে ফেলল। তার ভিত্তিতে কাগজেও কপি লেখা হল। কোথাও কোনও প্রশ্নচিহ্নটুকুও নেই।
পরে কী দেখা গেল? ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে আফগানিস্তান হেরে গেল। অর্থাৎ, ওয়েস্ট ইন্ডিজই গ্রুপ শীর্ষে। তারপরেও সেই ভারত বনাম আফগানিস্তান! তাহলে এ১ বনাম সি১ সূচির মানে কী? এমনকী, যেখানে সূচিতে ভারত বনাম আফগানিস্তান লেখা আছে, সেখানেও বন্ধনীতে এ১ বনাম সি১ লেখা হয়েছে। অথচ, খেলল এ১ বনাম সি২।
দিনের আলোয় এতবড় একটা কারচুপি হয়ে গেল। কারও নজরে এল না? কারও মনে কোনও প্রশ্ন এল না? কন্ট্রোল সি আর কন্ট্রোল ভি–র এই বিস্তার মগজকে কতখানি ভোঁতা করে দিচ্ছে, আরও একবার বোঝা গেল।