সোহম সেন
প্রায় ২ বছর ধরে আদালতেই পড়ে রইল বোর্ড। আবেদন ছিল, বোর্ড সভাপতি ও বোর্ড সচিবকে যেন এখনই কুলিং অফে না যেতে হয়।
যুক্তি ছিল, দুজনেরই বয়স কম। রাজ্য স্তরে কাজ করে জাতীয় স্তরে এসেছেন। জাতীয় স্তরে কাজ করা বেশিদিন হয়নি। তাই এখনই সরিয়ে দেওয়া ঠিক হবে না। রাজ্য স্তরে কে কত বছর কাজ করেছেন, এই হিসেব আপাতত মুলতুবি রাখা হোক।
যে কোনও কারণেই হোক, সুপ্রিম কোর্ট ছাড়পত্র দিয়েছিল। অর্থাৎ, সৌরভ গাঙ্গুলি ও জয় শাহ আরও তিন বছর থাকতে পারবেন। কিন্তু একমাস যেতে না যেতেই বোর্ডে সৌরভের বিদায়ঘণ্টা কার্যত বেজেই গেল। সভাপতি হিসেবে অন্য নাম হাওয়ায় ভাসছে। কখনও শোনা যাচ্ছে, জয় শাহ সভাপতি হতে পারেন। আবার কখনও ভেসে উঠছে রজার বিনির নাম।
মোদ্দা কথা হল, সৌরভের আর বোর্ডে থাকা হচ্ছে না। তাঁকে নাকি আইসিসি–তে পাঠানো হবে। সে তো তিন বছর পরেও পাঠানো যেত। এত তাড়া কীসের? আসলে, তিন বছর পর সৌরভের পাশাপাশি জয় শাহকেও কুলিং অফে যেতে হবে। তিন বছরের বিরতি নিয়ে আবার ফিরে আসতে হবে। অর্থাৎ, ছয় বছর অপেক্ষা করতে হবে অমিত শাহর পুত্রকে।
৬ বছর পর রাজনীতির অনেক সমীকরণ বদলে যাবে। বাবা দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী না থাকলে জয় শাহরও যে তেমন মূল্য থাকবে না, এটুকু বোঝার জন্য বিশেষ ক্রিকেট বুদ্ধি না থাকলেও চলে। তাহলে, মোদ্দা কথাটা কী দাঁড়াল? তাঁকে সভাপতি হতে হলে এখনই হতে হবে। সেক্ষেত্রে বিদায় নেওয়া ছাড়া সৌরভের সামনে আর কোনও রাস্তা নেই।
এখন সৌরভকে আইসিসিতে পুনর্বাসন দেওয়া ছাড়া উপায় নেই। তাহলে সৌরভের সম্মানও রইল। জয় শাহর সভাপতি হওয়াও হল। আপাতত সেইদিকেই এগোচ্ছে বোর্ড। বোঝাই যাচ্ছে, সৌরভের জন্য নয়। জয় শাহ যেন আরও তিন বছর থাকতে পারেন, সেই তাগিদ থেকেই কোর্টে যাওয়া হয়েছিল।