দিন কয়েক আগের কথা। ভবানীপুরের রেজাল্ট ততক্ষণে বেরিয়ে গেছে। তারস্বরে বাজছে, খেলা হবে, খেলা হবে। সেই গানের মাঝেই মুকুল রায়, সব্যসাচী দত্ত সম্পর্কে নানান কটূ কথা। তৃণমূল সমর্থকরা তারস্বরে বাজিয়েই চলেছেন। গানের কথা সম্পর্কে তাদের বিন্দুমাত্র আগ্রহ নেই।
মুকুল রায় কয়েক মাস আগেই ঘাসফুলের পতাকা ধরে ফেলেছেন। এবার সব্যসাচীও এসে গেলেন। মুকুল এসেছেন মানে সব্যসাচীর আসা ছিল সময়ের অপেক্ষা। মনে পড়ছে, কয়েক মাস আগে করুণাময়ী চত্বরে পোস্টার পড়েছিল, সব্যসাচীদের দলে নেওয়া চলবে না। এখন তাদের মুখগুলো দেখতে খুব ইচ্ছে করছে। তারা কী বলছেন, তাও জানতে বড় ইচ্ছে করছে। যিনি সব্যসাচীকে হারালেন, সেই সুজিত বোস? তিনি কী বলছেন? কী আর বলবেন? এই কয়েক বছরে বুঝে গেছেন, তার মতামতের কোনও মূল্যই নেই।
দলবদল হল কোথায়? একেবারে খোদ বিধানসভায়। পতাকা ধরিয়ে দিলেন কে? একজন পরিষদীয় মন্ত্রী। অন্যজন কলকাতার বিদায়ী মেয়র। বিধানসভায় যে এই জাতীয় দলবদল হয় না, এই বোধটুকুও এই দুই মন্ত্রীর নেই! স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ ছাড়া বিধানসভায় এই দলবদল সম্ভব? আরও একজনের কথা না বললেই নয়। তিনি বিধানসভার অধ্যক্ষ। সত্যিই বড় অসহায়। দুই মন্ত্রী বেশ ভাল করেই জানেন, এই ভদ্রলোকের কোনও ক্ষমতাই নেই। তার কিছুই করার মুরোদ নেই। তিনি বড়জোর বলবেন, কী হয়েছে, আমি জানি না। এ ছাড়া আর কীই বা বলতে পারেন! তাকে যে কেউই তেমন পাত্তা দেয় না, এই ঘটনায় আরও একবার পরিষ্কার হয়ে গেল। একটি দলবদল আরও কত পদাধিকারীকে বেয়াব্রু করে দিয়ে গেল।