বেঙ্গল টাইমস প্রতিবেদন: তৃণমূলের ঘোষিত মুখপত্র ‘জাগো বাংলা’, এটা প্রায় সবাই জানেন। কিন্তু অঘোষিত মুখপত্র কোনটি? মানে, কোন কাগজ দেখে মনে হত, এটা তৃণমূলের কাগজ। গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে সেই ভূমিকা পালন করেছে সংবাদ প্রতিদিন। এই কাগজটি পড়লেই মনে হত, এটি একেবারে তৃণমূলেরই কাগজ। মনে হওয়াই স্বাভাবিক। খবরের ধরণ থেকে শুরু করে কারা চালাচ্ছেন, নানা বিষয় থেকেই তৃণমূল ঘনিষ্ঠতার ছাপ পরিষ্কার ছিল।
এই কাগজের আগের সম্পাদক স্বপনসাধন বসু (টুটু বসু) ছিলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ। বর্তমান সম্পাদক সৃঞ্জয় বসুও ছিলেন রাজ্যসভার সাংসদ। এমনকী একসময় জাগো বাংলা–র সম্পাদকও ছিলেন সৃঞ্জয়। আরেক সাংবাদিক কুণাল ঘোষকেও রাজ্যসভার সাংসদ করেছিল তৃণমূল।
কিন্তু সেই সংবাদ প্রতিদিনের প্রতি অনেকটাই মোহভঙ্গ হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর। তাঁর ধারণা, এই কাগজ তলে তলে বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে। সরকার উল্টে গেলে তারাও উল্টে যাবে। ঘনিষ্টমহলে মুখ্যমন্ত্রী তাঁর এই ভাবনার কথা প্রকাশও করেছেন। এটা ঘটনা, এবার লোকসভা নির্বাচনের কভারেজে অনেকটাই ভারসাম্য রেখেছিল এই দৈনিকটি। সব দলের খবরই গুরুত্ব পেয়েছিল। মোটেই একপেশে মনে হয়নি।
এতদিন প্রতিদিনের প্রেস থেকেই ছাপা হত জাগো বাংলা। এমনকী লেখালেখি থেকে পাতা তৈরির অনেকটাই হত সংবাদ প্রতিদিনের অফিস থেকেই। সম্প্রতি তৃণমূল সুপ্রিমো সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, এই কাগজের প্রেস থেকে আর জাগো বাংলা ছাপানো হবে না। এমনকী, লেখালেখির কাজে এই কাগজের সাংবাদিকরা যে সাহায্য করতেন, তাও আর নেওয়া হবে না। তার বদলে সল্টলেক থেকে প্রকাশিত অন্য একটি বাংলা দৈনিকের প্রেসকে বেছে নিয়েছেন। সূত্রের খবর, এবার থেকে সেই কাগজের অফিস থেকেই ছাপা হবে জাগো বাংলা।