কথাঃ শমীন্দ্র রায়চৌধুরি
সুরঃ সুপর্ণকান্তি ঘোষ
কণ্ঠঃ মান্না দে
স্বপ্নের মতো ছিল দিনগুলো কফিহাউসের
আজ আর নেই।
জীবনে চলার পথে হারিয়ে গিয়েছে অনেকেই
আজ আর নেই।।
নিখিলেশ লিখেছে, প্যারিসের বদলে
এখানেই পুজোটা কাটাবে।
কী এক জরুরি কাজে, ঢাকার অফিস থেকে
মঈদুলকেও নাকি পাঠাবে।
একটা ফোনেই জানি রাজি হবে সুজাতাও
আসবে না অমল আর রমা রায়।
আমাদের ফাঁকি দিয়ে কবেই তো চলে গেছে,
ওদের কখনও কি ভোলা যায়!
ওরা যেন ভাল থাকে, একটু দেখিস তোরা
শেষ অনুরোধ ছিল ডিসুজার।
তেরো তলা বাড়িতে, সবকিছু আছে তবু
কীসের অভাব যেন সুজাতার।।
একটাও তার লেখা হয়নি কোথাও ছাপা
অভিমান ছিল খুব অমলের।
ভাল লাগে দেখে তাই, সেইসব কবিতাই
মুখে মুখে ফেরে আজ সকলের।।
নাম, যশ, খ্যাতি আর অনেক পুরস্কার
নিখিলেশ একই থেকে গিয়েছে।
একটা মেয়ে বলেই সুজাতা বিয়েতে তার
দু’হাত উজাড় করে দিয়েছে।।
সবকিছু অগোছালো ডিসুজার বেলাতেই
নিজেদের অপরাধী মনে হয়।
পার্ক স্ট্রিটে মাঝরাতে, ওর মেয়ে নাচে গায়
ইচ্ছে বা তার কোনও শখে নয়।।
কার দোষে ভাঙল, সে মঈদুল বলেনি,
জানি ওরা একসাথে থাকে না।
ছেলে নিয়ে মারিয়ান, কোথায় হারিয়ে গেছে,
কেউ আর কারও খোঁজ রাখে না।।
নাটকে যেমন হয়, জীবন তেমন নয়
রমা রায় পারেনি তা বুঝতে।
পাগলা গারদে তার কেটে গেছে শেষদিন
হারানো সে চেনা মুখ খুঁজতে ।।
দেওয়ালের রঙ আর আলোচনা, পোস্টার
বদলে গিয়েছে সব এখানে
তবুও প্রশ্ন নেই, যে আসে বন্ধু সেই,
আড্ডা-তর্ক চলে সমানে ।।
সেই স্বপ্নের দিনগুলো, বাতাসে উড়িয়ে ধুলো
হয়ত আসবে ফিরে আজ আবার।
অমলের ছেলেটার হাতে উঠে এসেছে
ডিসুজার ফেলে যাওয়া সে গিটার ।।।।