সোহম সেন
বিশ্বকাপের প্রথম চার ম্যাচে তাঁকে দলেই রাখা হয়নি। দেখে কিছুটা অবাকই হয়েছিলাম। মহম্মদ সামি খেনছেন না। তাঁর বদলে কিনা শার্দূল ঠাকুর!
কী জানি, পঞ্চম ম্যাচেও হয়ত সামি ডাক পেতেন না। সেদিক দিয়ে হার্দিক পান্ডিয়ার চোট পাওয়াটা শাপে বর হয়েছে। এই দলে হার্দিকের দরকার নেই, এমনটা বলছি না। তিনিও একজন গুরুত্বপূর্ণ অলরাউন্ডার। কিন্তু এটাও ঘটনা, ধরমশালাতেও তিনি থাকলে হয়ত সামিকে বাইরেই বসতে হত।
সেই ধরমশালা থেকেই অভিযান শুরু হল সামির। প্রথম ম্যাচেই তুলে নিলেন পাঁচ উইকেট। লখনউয়ে পরের ম্যাচে আরও চারটি। আর মুম্বইয়ে তো একাই ধস নামিয়ে দিলেন শ্রীলঙ্কার ইনিংসে। তিন ম্যাচে চোদ্দ উইকেট! ছাপিয়ে গেলেন জাভাগাল শ্রীনাথ আর জাহির খানকে।
লম্বা সফরে সবাইকে সব ম্যাচে খেলানো যায় না। ঘুরিয়ে ফিরিয়ে সবাইকে খেলাতে হয়। কেউ কেউ বলতেই পারেন, বিশ্বকাপের মতো আসরে পরীক্ষা নিরীক্ষার জায়গা নেই। সব ম্যাচেই এখানে সেরা দল নামাতে হয়। এমনকী দুর্বল দলের বিরুদ্ধেও নেট রানরেট বাড়িয়ে রাখতে হয়। কারণ, পরের দিকে এই নেট রান রেটটাই ফারাক গড়ে দেয়।
কিন্তু পাশাপাশি দীর্ঘ প্রতিযোগিতায় সবাইকে সুস্থ রাখার কথাটাও টিম ম্যানেজমেন্টকে ভাবতে হয়। কারণ, টানা খেলে গেলে পরের দিকে কোনও ক্রিকেটার চোটের কবলে পড়তেই পারেন। আসল সময়েই যদি তাঁকে পাওয়া না যায়, তাহলে সমস্যা বাড়ে। যদি সেই কারণে সামিকে প্রথমদিকের ম্যাচগুলোয় খেলানো না হয়ে থাকে, তাহলে সেই সিদ্ধান্তের পেছনে যুক্তি আছে। কারণ, সামিকে গ্রুপ লিগের ম্যাচে যত না দরকার, সেমিফাইনাল বা ফাইনালে তার থেকে বেশি দরকার।
এবারের দলে কোনও বাঙালি ক্রিকেটার নেই। কিন্তু বাংলার অবদান থেকেই গেল। ভুললে চলবে না, এই সামি কিন্তু রনজিতে খেলেন বাংলার জার্সি গায়েই। তাঁর ক্রিকেটজীবনের উত্থানটা এই বাংলা থেকেই। সেদিক থেকে দেখতে গেলে বাঙালির গর্ব করার উপাদান থেকেই গেল।