চলো না দিঘার সৈকত ছেড়ে

স্মৃতিটুকু থাক

একবার অফিসের সবাই পরিবার নিয়ে ঘুরতে গিয়েছিলাম দীঘায়। এক কলিগের স্ত্রীও গিয়েছিল। তার নামটা ইচ্ছে করেই লিখছি না। আমার নামটাও গোপন রাখছি। তবে অনুভূতিটুকু বলাই যায়।

anu galpo2

ধরে নিন, সেই কলিগের স্ত্রীর নাম মালবিকা। গানের গলাটা ছিল দারুণ। একদিকে রান্না হচ্ছিল। দল বেঁধে আমরা কয়েকজন ছিলাম ঝাউবাগানে। সে একের পর এক গান গাইছিল। একটা গান মাঝপথে ভুলে গেল। আমি সেখান থেকে ধরলাম। মেয়েটি আড়চোখে তাকাল। বলল, বাহ, আপনার গানের গলাটা তো বেশ। সবার অনুরোধে আমাকেও কয়েকটা গাইতে হল।

সে বলল, চলুন একটু ঘুরে আসি। দুজন মিলে গেলাম নির্জনে। বলল, ওরা কেউ গান বোঝে না। তাই ওদের গান শুনিয়ে লাভ নেই। আপনি গান, আমি শুনব। আমি গাইব, আপনি শুনবেন। সেদিন অনেক গান হয়েছিল। আমার সেই কলিগ মুম্বইয়ে বদলি হয়ে যায়। মালবিকাও চলে যায় মুম্বইয়ে। তবু ওই একটি দিনের স্মৃতি সারাজীবনের সম্পদ হয়ে থাকবে।

সৈকত ভদ্র, নাকতলা

(‌এই বিভাগ কিন্তু একান্তই পাঠকদের জন্য। আপনারাও লিখে পাঠান আপনাদের অনুভূতি। বিশেষ কারও কথা মনে পড়ছে?‌ অতীতের কোনও কাজের জন্য ভুলস্বীকার করতে ইচ্ছে করছে?‌ বলে ফেলুন। দেখুন, অনেক হালকা লাগবে। লেখা পাঠানোর ঠিকানা:‌ bengaltimes.in@gmail.com) ‌

Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.