ধীমান সাহা
কে হতে পারেন নতুন মেয়র? সবাই মোটামুটি ধরেই নিয়েছেন, যাঁরা কাউন্সিলর আছেন, তাঁদের মধ্যে থেকে কেউ হচ্ছেন না। যেভাবে সরকার তড়িঘড়ি আইন বদলের কথা ভাবছে, তাতে পরিষ্কার, বাইরে থেকেই কাউকে মেয়র করা হবে। পাল্লা ভারি ববি হাকিমের। অর্থাৎ, একইসঙ্গে তিনি থাকবেন পুরমন্ত্রী ও মেয়র।
বিশেষ প্রয়োজনে রাজ্য সরকার কোনও আইন বদল করতেই পারে। রাজ্য বা কেন্দ্রে মন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার জন্য প্রাথমিকভাবে বিধায়ক বা সাংসদ না হলেও চলে। পরে ছমাসের মধ্যে জিতে এলেই হয়। পুরসভার ক্ষেত্রেও সরকার এমন আইন আনতে চাইছে। অর্থাৎ, কাউন্সিলর না থেকেও কেউ মেয়র হতে পারেন। ছমাসের মধ্যে তাঁকে উপনির্বাচনে জিতে আসতে হবে। অর্থাৎ, যাকে খুশি মেয়র হিসেবে শপথ নেওয়ানো যায়।
কিন্তু প্রশ্ন হল, তড়িঘড়ি এমন আইন আনতে হচ্ছে কেন? ১৪১ জনের পুরসভায় এই মূহূর্তে তৃণমূলের সদস্য ১২২। এরপরেও বাইরে থেকে লোক খুঁজতে হচ্ছে কেন? এই ১২২ জনের মধ্যে এমন একজনও নেই যাঁকে মেয়র করা যায়! তাহলেই ভেবে দেখুন, কলকাতার মানুষ কাদের নির্বাচন করেছিলেন। ভেবে দেখুন, নিজেদের ১২২ কাউন্সিলরের প্রতি তৃণমূল নেত্রীর কতখানি অনাস্থা।
কাউন্সিলররা সবাই নেত্রীর প্রতি দারুণ আস্থাশীল। অথচ, তাঁদের দক্ষতা বা যোগ্যতার ওপর কোনও আস্থাই নেই মমতার। তাই এই তড়িঘড়ি আইন বদলের ভাবনা। এ যাত্রায় নতুন মেয়র হয়ত পাওয়া যাবে। কিন্তু অহেতুক বড় একটা সাংবিধানিক সংকট ডেকে আনলেন মুখ্যমন্ত্রী।