নন্দ ঘোষের কড়চা
এ যেন মেগা সিরিয়ালকেও ছাপিয়ে যাচ্ছে। কখনও শোভন চ্যাটার্জি তোপ দাগছেন রত্নার দিকে। কখনও রত্না তোপ দাগছেন শোভনের দিকে। পার্শ্বচরিত্র হিসেবে কত চরিত্র এসে যাচ্ছে। না থেকেও এসে যাচ্ছেন বৈশাখী। সব চ্যানেলে কত লাইভ ফুটেজ। চড়চড় করে বাড়ছে টিআরপি।
কত জল্পনা? কে হতে পরেন মেয়র? শোভন তাহলে কোথায় যাবেন? নতুন কোনও রাজনৈতিক সমীকরণ? কেন এই পরিস্থিতি তৈরি হল, কাগজে কাগজে কতই না অন্তর্তদন্ত। শোভন চ্যাটার্জি ঠিক কার মুখে ঝামা ঘসলেন? রত্না চ্যাটার্জির? মমতা ব্যানার্জির? কোনওটাই নয়। আসলে, বাংলার সবজান্তা সাংবাদিকদের মুখে ঝামাটা ঘসে দিলেন।
সব কতই না মাতব্বরি। কেউ ডাকে শোভনদা। কেউ ডাকে কাননদা। যেন মায়ের পেটের দাদা। আপনি না বলে অনেকেই তুমি বলে ডাকেন। ফেসবুকে কত মাতব্বর কত ছবি সাঁটায়। পাড়ায়, অফিসে, প্রেস ক্লাবে, এমন ভান করে যেন শোভন চ্যাটার্জি তাঁদের কতদিনের চেনা। তাঁরা শোভনের সব খবর রাখেন। কত হাঁড়ির খবর তাঁরা জানেন। তৃণমূল বিট কভার করা অনেকের মুখেই একটা সবজান্তা ভাব। যেন কী হতে চলেছে, সব তাঁরা আগাম বুঝতে পারেন।
এই সব সাংবাদিকদের দৌড় কতদূর, তা বুঝিয়ে দিলেন মেয়র মশাই। বুঝিয়ে দিলেন, তোরা যে যতই বাতেলা ঝাড়, কেউ কিস্যু জানিস না। কই, কেউ তো আগাম খবর করতে পারলেন না, আজ পদত্যাগ করছেন শোভন। কোনও কাগজেই তো এমন কোনও খবর ছিল না। এমন কোনও ইঙ্গিতও ছিল না। পদত্যাগ করার পর সবাই বাহাদুরি দেখাতে পারে। পদত্যাগ করলেন, এটা বলার মধ্যে এমন কী বাহাদুরি আছে? এখন আর ওই সব অন্তর্তদন্তের কী মূল্য আছে? এগুলো হল নিজেদের ব্যর্থতা আড়াল করার অক্ষম এক চেষ্টা।