বেঙ্গল টাইমস প্রতিবেদন: গত কয়েকদিনে রাজীব কুমারকে নিয়ে কত লক্ষ লক্ষ শব্দই না লেখা হয়েছে। টিভি চ্যানেলে কত হাজার হাজার মিনিট সময় পেরিয়ে গেছে তাঁকে নিয়ে আলোচনায়। কিন্তু আরেক আইপিএস, গৌরব দত্ত নিঃশব্দে আত্মহত্যা করলেন। না টিভি চ্যানেল, না কাগজ, কোথাও তেমন উল্লেখ নেই। অধিকাংশ কাগজে খবরটাই নেই। কোথাও থাকলেও নম নম করে। তিন তিনটে জেলার এসপি ছিলেন। আজ্য পুলিশের আইজি পদমর্যাদার অফিসার ছিলেন।
হঠাৎ কেন আত্মহত্যা করতে গেলেন এই আইপিএস? মৃত্যুর আগে সেই জবানবন্দী দিয়ে গেছেন। কাকে অভিযুক্ত করা হয়েছে? একজন মানুষ যখন আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেয়, চূড়ান্ত অবসাদেই সেই সিদ্ধান্ত নিতে হয়। কিন্তু কেন এই অবসাদ নেমে এসেছিল সদ্যপ্রাক্তন এই আইপিএসের জীবনে? তাঁর কথার সঙ্গে একমত না হতেই পারেন, তাই বলে তাঁর এমন জবানবন্দী এক লাইনও ছাপা যাবে না? ভাবুন তো, এটা যদি বাম জমানায় হত! টানা এক সপ্তাহ ধরে কত দিস্তা দিস্তা লেখা হত। টিভি চ্যানেলে সবকিছু ছাপিয়ে দিনরাত আলোচনার আসর বসে যেত। কিন্তু এমনই এক থমথমে আবহ, কোথাও টুঁ শব্দ করা চলবে না।
এমন নয় যে তিনি কোনও গোপন জবানদন্দি পাঠিয়েছেন। নবান্নের পাশাপাশি পরিচিত অনেককেই পাঠিয়েছেন। হয়ত কিছু সত্যি, কিছুটা অবসাদ থেকে লেখা। তবু একজন আইপিএসের এমন মর্মান্তিক মৃত্যুর পর সেটা নিয়ে কোথাও এক লাইন আলোচনাও হবে না! কী অদ্ভুত এই নীরবতা! বাংলার মূলস্রোত মিডিয়া ভাবুক, কেন দিন দিন তাঁদের প্রতি মানুষের বিশ্বাস হারিয়ে যাচ্ছে।