পার্থ মুখার্জি।
রথ নিয়ে অহেতুক জটিলতা তৈরি করছে রাজ্য। আরও ভালভাবে বলতে গেলে, তৃণমূল। এমন আবহে সরকার চলছে, যেখানে সরকারের আলাদা কোনও সত্তা থাকছে না। সরকার আর পার্টি যেন মিলেমিশে একাকার হয়ে যাচ্ছে। কোনটা দলের মঞ্চে বলতে নেই, আর কোনটা সরকারি মঞ্চে বলতে নেই, এই বোধটা খুব অল্প লোকেরই আছে।
রাজ্যের আমলারা, পুলিসকর্তারা যে ভাষায় কথা বলছেন, চিঠি লিখছেন, তাতে তাঁদের দলীয় ক্যাডারই মনে হচ্ছে। এই ভাষায় যে চিঠি লিখতে নেই, এই ন্যূনতম বোধশক্তিটুকুও আমলারা হারিয়ে ফেলছেন। রথযাত্রা নিয়ে অহেতুক জটিলতা তৈরি করছেন। এর মাশুল দিতে হবে হাইকোর্টে। এখনই বলে দেওয়া যায়, চড়া চিরস্কারের মুখে পড়বে রাজ্য সরকার।
পাঁচ রাজ্যে বিপর্যয়ের পর এমনিতেই কিছুটা কোনঠাসা বিজেপি। রথযাত্রা করলেও তা নিয়ে বিশেষ উন্মাদনা হত না। দিল্লির নেতারাও আসতেন বলে মনে হয় না। এলেও বুড়ি ছোঁয়ার মতো এসেও পালিয়ে যেতেন। সেখানে সেই রথযাত্রাকে অক্সিজেন দেওয়ার কাজ করছে রাজ্য সরকার। যেটা চুপচাপ হয়ে যেতে পারত, তাকে অকারণে হাইপ তৈরি করছে রাজ্য। একদিকে কোর্ট রাজ্যের ভূমিকার তিরস্কার করতে পারে। অন্যদিকে, রথযাত্রাকে ঘিরে বিশেষ উৎসাহ তৈরি হতে পারে বিজেপি শিবিরে। দুদিক থেকেই শাসকদলের ক্ষতি। অবশ্য, ভোট ভাগাভাগির সমীকরণে বিজেপি–কে যদি প্রাসঙ্গিক রাখতে হয়, তাহলে আলাদা কথা।