সঞ্জয় পাঠক
একই দিনে দুই জেলায় জেলা পরিষদের বোর্ডগঠন। একটি আলিপুরদুয়ার, অন্যটি মালদা। কিন্তু কে সভাধিপতি হবেন, কেউ জানে না। খাম বন্ধ অবস্থায় নাম আসবে, সেই নামকেই সমর্থন জানাতে হবে।
একটা দলের জেলা সভাপতি জানেন না, কে হবেন সভাধিপতি, কে হবেন সহকারী সভাধিপতি। অন্যান্য নেতা–মন্ত্রীরাও জানেন না। আবার তাঁরা ঠিক করতে গেলেও বিপদ। কারণ, তাঁদের নির্দেশ কে মানবেন আর কে মানবেন না বলা মুশকিল। যাঁরা নির্বাচিত সদস্য, তাঁদের মতামতেরও কোনও মূল্যই নেই। যেমন আলিপুরদুয়ারের কথাই ধরা যাক। ১৮ টির মধ্যে ১৭ টি আসন পেয়েছে তৃণমূল। অন্য দল লড়াইয়েই নেই। মালদার ক্ষেত্রেও ঘটনাটি প্রায় একইরকম। অন্য কোনও দল লড়াইয়েই নেই। এককভাবে বোর্ড তৃণমূলের। তার পরেও জেলার নেতৃত্ব সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন না।
মালদার ক্ষেত্রে পর্যবেক্ষক শুভেন্দু অধিকারী। আলিপুরদুয়ারে পর্যবেক্ষক অরূপ বিশ্বাস। দুজনেই প্রভাবশালী মন্ত্রী। কিন্তু তাঁদেরও সভাধিপতি বাছার এক্তিয়ার নেই। অথবা, তাঁরা বাছলেও তা চালাতে হবে নেত্রীর নামে। তার মানে, তাঁদের সিদ্ধান্ত জেলা পরিষদ সদস্যরা মানবেন, এই ভরসাটুকুও নেই।
নিশ্চিতভাবেই বলা যায়, জেলা পরিষদ ভবনকে ঘিরে পুলিসে ছয়লাপ থাকবে। যেখানে ১৮ জনের মধ্যে ১৭ জন তৃণমূলের, সেখানেও ভরসা রাখা যাবে না। এমনকী যে নেতাদের অবজার্ভার করে পাঠানো হচ্ছে, তাঁদের নির্দেশের ওপরেও ভরসা নেই। তাঁদেরও বলতে হবে, এই নাম কলকাতা থেকে এসেছে। দিদি পাঠিয়েছেন।