রজত সেনগুপ্ত
ধন্য ধন্য করার জন্য মূলস্রোত মিডিয়া আগাম বসে আছে। যখনই শোনা গেল, সিরিয়াল সংকট কাটাতে মুখ্যমন্ত্রী বৈঠক ডেকেছেন, তখনই জানা ছিল, পরের দিন কোন কাগজে কী শিরোনাম হবে। মোদ্দা কথা, মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে সমস্যা মিটে গেল।
চিত্রনাট্যগুলো যেন আগে থেকেই তৈরি থাকে। জানাই ছিল, এই জট ছাড়বে না। যতক্ষণ তিনি আসরে না নামবেন, ততক্ষণ দুই শিবিরে চাপানোতর চলবে। ধর্মঘট চলবে। তিনি আসরে নামবেন। আর অমনি মধুরেণ সমাপয়েত। আবার শুরু হবে শুটিং। ঘরে ঘরে আবার বেজে উঠবে সিরিয়ালের আগমনী বার্তা।
আসলে, চিত্রনাট্যে এমনটাই ছিল। নানা মহলের বৈঠক হবে। সেই বৈঠক ব্যর্থ হবে। অবশেষে, দুপক্ষকে নিয়ে বসবেন তিনি। এবং মুশকিল আসান হয়ে উঠবেন। তাঁর এত টেলি অ্যাকাডেমি, এত এত প্রিয় অভিনেতা, পরিচালক, প্রযোজক— তাঁরা মেটাতে পারলেন না কেন? সবকিছুতেই তাঁকে দরকার লাগে কেন? সব ব্যাপারেই তাঁকে আসরে নামতে হয় কেন?
এটা যদি মুখ্যমন্ত্রীর সাফল্য হয়ে থাকে, তাহলে মুদ্রার উল্টোদিকে ব্যর্থতার দায়টাও তাঁর। তিনি এমন এক প্রশাসন চালান, যাঁরা সামান্য সমস্যার সমাধান করতে পারে না। তিনি এমন এমন অনুচরদের নিয়ে চলেন, যাঁদের কোনও গুরুত্বই নেই।