নিশ্চিত থাকুন, ভোট এ বছরই

উপনির্বাচন বড় এক ধাক্কা। আরও বড় ধাক্কা হয়ত অপেক্ষা করছে রাজস্থানে। সেই ঝুঁকি কি বিজেপি নেবে?‌ রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়ে কংগ্রেস ভাল ফল করলে, সারা দেশে হাওয়া ঘুরে যাবে। তাই ভোট এগিয়ে আনা ছাড়া বিজেপির উপায়ও নেই। লিখেছেন দিব্যেন্দু দে।।

কখন হবে লোকসভার ভোট?‌ নানা মহলে জল্পনা শুরু হয়ে গেছে। নির্বাচন কমিশন জানাচ্ছে, নির্ধারিত সময়েই ভোট হবে। তার পরেও সংশয় যাচ্ছে না। কেন জানি না, মনে হচ্ছে, এ বছরের শেষদিকেই হয়ত ভোট হয়ে যাবে।

গত এক বছরে উত্তর প্রদেশ ছাড়া কোথাও বিরাট বড় মাপের জয় পায়নি বিজেপি। গুজরাটে সরকার হলেও ঘাড়ের ওপর জোরালো নিশ্বাস ছিল কংগ্রেসের। গ্রামীণ গুজরাটে বিজেপি–‌র ফল একেবারেই হতাশাজনক। গোয়া, মণিপুর, আসামে সরকার গড়েছে ঠিকই, কিন্তু কীভাবে সেই সরকার হয়েছে, বিজেপি নিজে সবথেকে ভাল জানে। ত্রিপুরাতেও সহজ জয় আসেনি। কংগ্রেসের ঘর ভেঙে লোক আনতে হয়েছে। তাঁরাই সংখ্যায় ভারি। এই সরকার কতদিন টিকবে, ঘোর সন্দেহ আছে। যে কোনও সময়েই পড়ে যেতে পারে। আর কর্নাটকে সরকার গড়তে গিয়ে যেভাবে মুখ পুড়ল, তা এত তাড়াতাড়ি ভুলে যাওয়ার কথা নয়। উপনির্বাচনে যা হয়েছে, তাকে ভরাডুবিই বলা যায়।

modi, amit shah

সহজ কথা, গ্রাফ পড়ছে। রাজস্থানে খুব ভাল ফল হওয়ার সম্ভাবনা নেই। সরকার উল্টে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। মধ্যপ্রদেশ বা ছত্তিশগড়েও দারুণ ফল হবে, এমন ভাবার কোনও কারণ নেই। যদি কোনওরকমে সরকার হয়েও যায়, ঘাড়ের ওপর জোর নিশ্বাস থাকবে কংগ্রেসের। কারণ, এই রাজ্যগুলিতে আঞ্চলিক দলের তেমন শক্তি নেই। একেবারে বিজেপি–‌কংগ্রেস মুখোমুখি লড়াই। আর কংগ্রেস যদি সামান্য অক্সিজেন পেয়ে যায়, তাহলে গোটা দেশেই বদলের হাওয়া সংক্রমিত হবে। আঞ্চলিক দলগুলিও কংগ্রেসের দিকেই ঝুঁকবে। সরাসরি এনডিএ বনাম ইউপিএ লড়াইয়ের আবহ তৈরি হবে।

যতদিন যাবে, তত এই লড়াইয়ের আবহ তীব্র থেকে তীব্রতর হবে। এটা বিজেপি–‌র ভোট ম্যানেজাররা বোঝেন না, এমন ভাবার কোনও কারণ নেই। তাই ভোট যত পেছোবে, ততই বিরোধীদের সুবিধা। ততই বিজেপির লোকসান। তাই ভোট এগিয়ে আনা ছাড়া উপায় নেই। নির্বাচন কমিশন যাই বলুক, ভোট এগিয়ে আসছেই।

Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.