রাহুল রায়
পরিষ্কার টিভিতে দেখা গেল, মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ একজনকে কষিয়ে চড় মারছেন। তিনি কে, সেই মুহূর্তে জানার উপায় ছিল না। তবে, মন্ত্রীমশাই যে চড় মারলেন, তা সারা বাংলা দেখল।
হতেই পারে, রোদে গরমে, রাগের মাথায় তিনি মেজাজ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেননি। সেটা স্বীকার করে নিলেই হত। অন্তত তাঁর সম্পর্কে কিছুটা হলেও শ্রদ্ধা থাকত। তার বদলে কী দেখলাম! তিনি বেমালুম অস্বীকার করলেন। এমন কোনও ঘটনাই নাকি ঘটেনি।
উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী। আটটা জেলার উন্নয়নের দায়িত্ব তাঁর। একইসঙ্গে শাসকদলের জেলা সভাপতি। মন্ত্রীসভায় সবথেকে লম্বা মানুষ। এবার জেলা পরিষদে নিজের ছেলেকে দাঁড় করিয়েছেন। জিতলে হয়ত সভাধিপতিও বানিয়ে দেবেন।
এর আগেও বেশ কয়েকবার মেজাজ হারিয়েছেন। অন্যকে চড় কষিয়েছেন। টিভিতে সেসব দৃশ্য ধরাও পড়েছে। এর বাইরেও আরও কতবার কার কার গায়ে তাঁর হাত উঠেছে, কে জানে! সেগুলো তো আড়ালেই থেকে গেছে।
কিন্তু এবারও যে টিভিতে পরিষ্কার দেখা গেল, তিনি চড় মারছেন। এর পরেও কোন মুখে বলছেন, মারেননি? এমন ডাঁহা মিথ্যে কথা বলা একজন ক্যাবিনেট মন্ত্রীকে মানায়? এখানেই শেষ নয়। যে শিক্ষককে চড় মারলেন, তিনি একজন শিক্ষক। তিনি যেই থানায় নালিশ জানাতে গেলেন, উল্টে তাঁকেই গ্রেপ্তার করা হল।
ধন্য মন্ত্রী! ধন্য তাঁবেদার পুলিশ।
এমন ডাঁহা মিথ্যে বলার ‘অনুপ্রেরণা’ কোথা থেকে পান, কে জানে!