সঞ্জয় মিত্র
হাইকোর্ট নাকি ভর্ৎসনা করেছে নির্বাচন কমিশনকে। নির্বাচন কমিশনারের ভূমিকায় নাকি আদালত সন্তুষ্ট নয়।
এর জন্য আদালতও কি দায়ী নয়? দিনের পর দিন মনোনয়ন জমা দেওয়ার নামে প্রহসন হয়েছে। অধিকাংশ ব্লক অফিস ঘেরাও করে রেখেছিল শাসক দলের বাহিনী। পুলিশ, জেলা প্রশাসন কার্যত নির্বাক দর্শক হয়ে দাঁড়িয়ে থেকেছে। নির্বাচন কমিশনও চোখে ঠুলি বেঁধেছিল। এই চিত্রগুলো গোটা রাজ্য জানে। বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু আদালত কার্যত পর্বতের মুষিক প্রসব করেছে। মনোনয়নের জন্য আরও একটা দিন বাড়ানো হয়েছিল। ভোটের দিন পরিবর্তন হয়েছে।

কিন্তু নতুন মনোনয়নের দিনেও একই কাণ্ড। অধিকাংশ প্রার্থীই মনোনয়ন দিতে পারলেন না। যাঁরা দিলেন, তাঁদেরও তুলে নেওয়ার জন্য লাগাতার চাপ দেওয়া হল। ই নমিনেশনের ব্যাপারে আদালতের অবস্থান কী, তা নিয়েও ধোঁয়াশা। আগেই বিরোধীরা ই মনোনয়নের দাবি জানিয়েছিলেন। তখন আদালত কর্ণপাত করেনি। হঠাৎ করে বলা হল, হোয়াটসঅ্যাপে যে ৯ জনের জমা পড়েছে, সেগুলো গ্রহণ করতে হবে। হঠাৎ ৯ জন কেন? ই মনোনয়নের সুযোগ থাকলে তো আরও অনেকে দিতে পারেতন। এমনকী পরবর্তী রায়েও বলা হল না, ই মনোনয়ন দেওয়া যাবে।
টানা দেড়মাস ধরে নির্বাচনের নামে প্রহসন হয়েছে। সবকিছু জেনেও আদালত ভর্ৎসনা করেনি। হস্তক্ষেপ করা উচিত না উচিত নয়, তা নিয়েই দ্বিধা দেখিয়েছে হাইকোর্ট। সেই সুযোগটাই নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। আগে যদি চড়া তিরষ্কার হত, তাহলে বল এতদূর গড়াত না।