সুমিত চক্রবর্তী
আমি অঞ্জন মিত্রর অনুরাগী নই। অতীতে নানা বিষয়ে তাঁর সমালোচনা করেছি। আগামীদিনেও করব। কিন্তু তাঁকে যেভাবে অপদস্থ করার চেষ্টা হচ্ছে, একজন মোহনবাগানপ্রেমী হিসেবে তা মানতে পারছি না। নিজের মতামত কোথায় আর তুলে ধরব? বেঙ্গল টাইমস মারফত জানিয়ে রাখলাম।
দেবাশিস দত্ত সহ অন্যান্য কর্তারা এখন দায় ঝেড়ে ফেলতে চাইছেন। যেন মোহনবাগানের যাবতীয় অব্যবস্থার জন্য অঞ্জন মিত্র একাই দায়ী। অঞ্জন মিত্রর বয়স হয়েছে। এটাও মনে করি, ক্লাব প্রশাসনের দৈনন্দিন কাজ থেকে তাঁর সরে দাঁড়ানো উচিত। নতুন কাউকে সামনে তুলে আনা খুব জরুরি। প্রাক্তন খেলোয়াড়দের আরও বেশি করে প্রশাসনে আনাও জরুরি। অঞ্জন মিত্র নিজেও সেটা বেশ ভাল বোঝেন। কিন্তু এত দিন মোহনবাগান সচিবের আসনে আছেন। এককথায় সরে যাওয়া খুব সহজ ব্যাপার নয়। মনের মধ্যে অনেক দ্বিধা–দ্বন্দ্ব কাজ করে। সকলেই চান, সম্মানজনকভাবে সরে যেতে । পরের প্রজন্মকে সেই পটভূমিটা তৈরি করে দিতে হয়।
কিন্তু দেবাশিস দত্তর মতো স্টান্টবাজ কর্তারা কবে আর অন্যকে সম্মান দিতে শিখেছেন! চিরকাল সস্তা প্রচারের পেছনেই ছুটেছেন। আচ্ছা বলুন তো, মোহনবাগান না থাকলে এই স্ফীতোদর কর্তাটিকে কে চিনত? এই মোহনবাগানকে ভাঙিয়েই তাঁর এতকিছু। অথচ, পদে পদে সেই মোহনবাগানকেই অপদস্থ করেন। একের পর এক সস্তা নাটকে সমর্থকরা সত্যিই লজ্জিত। নিজের প্রচারের জন্য ক্লাবকে তিনি কতবার যে অপদস্থ করেছেন, তার কোনও হিসেব নেই। কতবার পদত্যাগ করেছেন আর নির্লজ্জের মতো কতবার ফিরে এসেছেন, তারও কোনও হিসেব নেই।
অঞ্জন মিত্র আর যাই হোক, এদের থেকে অনেক ভাল। মোহনবাগান অনুরাগী হিসেবে চাই, অঞ্জন মিত্র সম্মানজনকভাবে বিদায় নিন। কিন্তু তাই বলে দেবাশিস দত্তর মতো হ্যাংলা কর্তাদের হাতে মোহনবাগান থাকুক, এটাও চাই না। এটুকু বলতে পারি, যেটা হচ্ছে, এটা কাম্য ছিল না। বিদায়বেলায় এমন অসম্মান অঞ্জন মিত্রর প্রাপ্য ছিল না।