ট্রেন বোঝাই করে চেন্নাই থেকে পুনেতে নিয়ে গেল সিএসকে। অথচ, আজকেই ইস্টবেঙ্গলের ফাইনাল, সামনেই ভুবনেশ্বরে। এক বেলাতেই পৌঁছে যাওয়া যেত। যে উদ্যোগটা চেন্নাই নিতে পারল, সেটা ইস্টবেঙ্গল পারল না কেন? লিখেছেন সোহম সেন।।
একদিন আগেই ছবিটা মোটামুটি ভাইরাল হয়ে গেছে। সকালে বেশ কিছু কাগজেও ছবিগুলো বেরিয়েছে। আইপিএলের বড় এক চমক। সমর্থকদের জন্য আস্ত একটা ট্রেন ভাড়া করে নিয়েছে চেন্নাই সুপার কিংস।
কাবেরী জলবন্টন নিয়ে বিবাদ এমন চরম পর্যায়ে, তামিলনাড়ুতে ম্যাচ করাই মুশকিল। বাধ্য হয়ে হোম ম্যাচ সরিয়ে নিয়ে যেতে হয়েছে পুনেতে। চেন্নাই থেকে পুনের দূরত্ব প্রায় ১১০০ কিমি। সময় লাগে প্রায় তেইশ ঘণ্টা।
হঠাৎই মনে পড়ে গেল, আজ তো ভুবনেশ্বরে সুপার কাপের ফাইনাল। ইস্টবেঙ্গ বনাম বেঙ্গালুরু এফসি। আই লিগ অল্পের জন্য হাতছাড়া হয়েছে। সেক্ষেত্রে লাল হলুদের সামনে মরশুমে একমাত্র সর্বভারতীয় ট্রফি জেতার সুযোগ। অথচ, সমর্থকদের মধ্যে সেভাবে উন্মাদনা তৈরি করা গেল না।
যেটা চেন্নাই সুপার কিংস করতে পারল, সেটা ইস্টবেঙ্গল কেন পারল না? শ্রীনিবাসনের অনেক টাকা। তাঁর পক্ষে আস্ত একটা ট্রেন বুক করে নেওয়া হয়ত কোনও ব্যাপার নয়। কিন্তু ইস্টবেঙ্গল তো ছোট করে উদ্যোগ নিতে পারত। জগন্নাথ এক্সপ্রেস বা ধৌলি এক্সপ্রেসের কয়েকটা কামরা তো বুকিং করা যেত। কতই বা খরচ পড়ত! না হয় সেটা সমর্থকদের কাছেই তুলে নেওয়া যেত। যাওয়া, আসা, থাকা, খাওয়া সবমিলিয়ে হাজার টাকার প্যাকেজ রাখাই যেত। সমর্থকদের কাছে আহ্বান জানানোই যেত।
এখনও, এই গরমেও এমন অনেক সমর্থক আছেন, যাঁরা কোনওকিছুর পরোয়া না করে ভুবনেশ্বর পৌঁছে গেছেন। এই সমর্থকরা সত্যিই ক্লাবের গর্ব। এঁরা আই লিগ দেখতে গোয়া ছুটে যান। ফেড কাপ, ডুরান্ড কাপেও হাজির হয়ে যান। অথচ, এই সমর্থকদের আবেগকে ক্লাব সেভাবে কাজে লাগাতেই পারল না। যদি একটা বা দুটো কামরা বুকিং করা যেত, রীতিমতো সাড়া পড়ে যেত। দল বেঁধে সবাই একসঙ্গে যেতেন। হইহুল্লোড় করে একসঙ্গে থাকতেন। জিতলে আনন্দ করতে করতে ফিরে আসতেন। দারুণ একটা ব্যাপার হতে পারত। গোটা দেশের কাছে, স্পন্সরদের কাছে দারুণ একটা বার্তা যেত। কিন্তু কর্তারা কবে যে সাবালক হবেন! এত এত ফ্যান ক্লাব রয়েছে, তাঁরাও যদি এমন একটা উদ্যোগ নিতেন!
চেন্নাই পথ দেখাল। আগামীদিনে সেই পথে কি হাঁটবে কলকাতার দুই প্রধান! সময়ই বলে দেবে।
(এটি ওপেন ফোরাম। আপনিও এই ব্যাপারে নিজের মতামত তুলে ধরতে পারেন। বিকল্প প্রস্তাব দিতে পারেন। লেখা পাঠিয়ে দিন বেঙ্গল টাইমসের ঠিকানায়। ঠিকানা: bengaltimes.in@gmail.com)