ভোলানাথ রায়
পঞ্চায়েতের ঢাকে কাঠি পড়ে গেছে। মনোনয়ন জমার প্রক্রিয়াও শুরু হল বলে। কিন্তু বিরোধী দলগুলি যেন এখন থেকেই কাঁদুনি গাইতে শুরু করে দিয়েছে। বলা হচ্ছে, হঠাৎ করে ঘোষণা হয়ে গেল। এখন প্রার্থী খোঁজা মুশকিল। শাসক দলের চক্রান্ত।
এর মধ্যে চক্রান্তের কী আছে? নির্ধারিত সময়েই তো ভোট হচ্ছে। তাহলে এত হইচই কেন? শাসক দল নির্বাচন কমিশনকে পরিচালনা করতে চাইবে, প্রভাব খাটাবে, সেটা স্বাভাবিক। কোথাও অনিয়ম হলে অভিযোগ জানানোর রাস্তা আছে। কিন্তু ভোটের দিনক্ষণ নিয়েও এত আপত্তি? এমন নয় যে, ভোট ছমাস এগিয়ে আনা হয়েছে। এমনও নয় যে ছমাস পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। মে মাসে হওয়ার কথা, মে মাসেই হচ্ছে। প্রচারের জন্য হাতে এক মাস সময় পাওয়া যাচ্ছে। প্রার্থী বাছাই, মনোনয়নের জন্যও দশদিন সময় পাওয়া গেল। এই দশদিনে একজন প্রার্থী খুঁজে পাওয়া যাবে না? তার মানে বুঝতে হবে, গলদটা অন্য জায়গায়।
অনেক আগে থেকেই তো জানতেন, পঞ্চায়েত ভোট আছে। গত ছ–সাত মাস ধরে বিভিন্ন সভা, সমিতি, প্রেস কনফারেন্সে বারবার উঠে এসেছে পঞ্চায়েত ভোটের কথা। কেউ কেউ বলছে, কোনও প্রস্তুতি ছিল না। মামলা করব। আগে থেকে কোনও প্রস্তুতিই ছিল না? ছিল না কেন? এতদিন তাহলে কী করছিলেন? প্রস্তুতি ছিল না বলাটা যে গর্বের নয়, সেটা এদের কে বোঝাবে? মামলা করলে নিজেরাই ফের হাসির খোরাক হবেন।
দাবি করতেই পারেন, কেন্দ্রীয় বাহিনী এনে ভোট করাতে হবে। নাহ্য দাবি। দাবি করতেই পারেন, শুধু ভোটের সময় নয়, মনোনয়নের সময়েও পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দিতে হবে। আরও কিছু সঙ্গত দাবি তোলা যায়। তা না করে উল্টোপাল্টা আপত্তি জানিয়ে নিজেদেরই হাস্যকর করে তুলছেন বিরোধীরা।
ভোট নির্ধারিত সময়েই হচ্ছে। আগে এই সহজ সত্যিটা মেনে নিন। নইলে, বাকি আপত্তিগুলোর মূল্য থাকবে না।