ধীমান সাহা
কে যে কাকে এপ্রিল ফুল করল, বোঝা মুশকিল। কথা ছিল, এনজেপি থেকে পাহাড়ে ছুটবে এসি টয় ট্রেন। আগাম ঘোষণাও হয়েছিল। কিন্তু শুরুর দিনেই বিভ্রাট। দেখা গেল, কোনও যাত্রী নেই। বাতিল করতে হল টয় ট্রেন।
যে টয় ট্রেনকে ঘিরে বাঙালির এত নস্টালজিয়া, তার এমন অবস্থা হল কেন? একটিও যাত্রী জুটল না! প্রথম দিনে ঘটা করে যাত্রা শুরু হওয়ার কথা। তার জায়গায় নিঃশব্দে বাতিল করতে হল! বেশ কয়েকটি কারণ উঠে আসছে।
১) ট্রেন যে পয়লা এপ্রিল থেকে চলবে, সেটা তেমনভাবে প্রচার করাই হয়নি। ফলে, পর্যটকরা জানতেও পারেননি।
২) কত ভাড়া হবে, সেটাই এখনও চূড়ান্ত করা যায়নি। ভাড়াই যদি চূড়ান্ত না হয়, যাত্রীরা যাবেন কীভাবে?
৩) সাধারণ টয় ট্রেনের ভাড়া মাত্রাতিরিক্ত হারে বাড়ানো হয়েছে। যাত্রীপিছু ভাড়া ১৩০০ টাকা। মাত্র ছ মাসেই তিন গুন ভাড়া বেড়ে গেছে।
৪) যেখানে এনজেপি থেকে শেয়ারে যাত্রীপিছু ভাড়া ১৩০/১৪০ টাকা, সেখানে টয় ট্রেনে দশগুন! বাঙালি মধ্যবিত্তের পক্ষে অনেকটা বেশিই হয়ে যাচ্ছে।
৫) সাধারণ ট্রেনের ভাড়াই যদি এত হয়, এসির ভাড়া না জানি কত হবে। হয়ত দু হাজার ছাপিয়ে যাবে। ফলে, শুরু থেকেই যাত্রীদের মধ্যে রোমাঞ্চের বদলে আতঙ্ক কাজ করেছে।
ফল যা হওয়ার, তাই হল। প্রথম দিনই লজ্জিত হতে হল ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের তকমা পাওয়া টয় ট্রেনকে। কবে থেকে চালু হবে, তারও কোনও স্পষ্ট ঘোষণা নেই।