রঞ্জন সেন
যাক, কিছুটা হলেও স্বস্তি পাওয়া গেল। টয় ট্রেনের ভাড়া নাকি কমানো হবে। রেল বোর্ড নাকি এমনটা বিবেচনা করছে। কতটুকু কমবে জানি না। তবে রেল বোর্ডের এই প্রাথমিক ঘোষণাকে স্বাগত জানাই।
টয় ট্রেনের ভাড়া সত্যিই আকাশছোঁয়া হয়ে উঠেছিল। এনজেপি থেকে দার্জিলিং যাওয়ার ভাড়া কিনা ১৩০০ ! বেঙ্গল টাইমসেই পড়েছিলাম। শুরুতে বিশ্বাস হয়নি। পরে নেট ঘেঁটে জানলাম, সত্যিই ১৩০০। পরিচিতদের কাছেও খোঁজ নিলাম।
অনেক কাল আগে টয় ট্রেনে চেপেছিলাম। দার্জিলিং থেকে শিলিগুড়ি নেমেছিলাম এই টয় ট্রেনেই। তখন ভাড়াও অনেক কম ছিল। সময় অনেকটা বেশিই লাগত। তবু অদ্ভুত এক রোমাঞ্চ ছিল সেই সফরে। একটু একটু করে সাদা ধোঁয়া উড়িয়ে এগিয়ে চলছিল ট্রেন। ছুটতে ছুটতেই স্থানীয় লোকেরা দিব্যি উঠে যাচ্ছে, নেমেও যাচ্ছে।
তারপর বেশ কয়েকবার দার্জিলিংয়ে গেলেও নানা কারণে টয় ট্রেন চড়া হয়নি। কখনও সময়ে কুলোয়নি। কখনও টিকিট পাইনি। কিন্তু এর ভাড়া যে ১৩০০ টাকা হয়ে গেছে, তা জানতামই না। একজন সাধারণ মধ্যবিত্ত মানুষের পক্ষে ১৩০০ টাকা দিয়ে শিলিগুড়ি থেকে দার্জিলিংয়ে যাওয়া সম্ভব? পরিবার নিয়ে উঠলে তো কথাই নেই।
আমরা এত তুচ্ছ তুচ্ছ কারণে প্রতিবাদ করি। অথচ, এই বিষয়টা নিয়ে তেমন জোরালো প্রতিবাদ হয়েছে বলে শুনিনি। লোকসভা বা বিধানসভায় এই প্রসঙ্গটা কোনওদিন তোলা হয়েছে বলেও মনে পড়ছে না। বিনয় তামাংরা এতকিছু নিয়ে এতরকম লেকচার দিচ্ছেন। এই বিষয়টা নিয়ে কখনও বলেছেন বলে শুনিনি।
গরম পড়ে গেছে। মাধ্যমিক শেষ হয়েছে। এবার উচ্চ মাধ্যমিকও শেষ হবে। দলে দলে বাঙালি পাহাড়ে উঠবে। তার আগেই যেন ভাড়া কমানোর বিষয়টি কার্যকর হয়। সমস্ত পর্যটকের তরফ থেকে রেল দপ্তরের কাছে এমন দাবি জানিয়ে রাখলাম।