পাখি রক্ষিৎ
অনেককাল আগে দাদাঠাকুরকে নিয়ে একটা সিনেমা হয়েছিল। দাদাঠাকুর শরৎচন্দ্র পণ্ডিত তখনও বেঁচে। দাদাঠাকুরের ভূমিকায় ছিলেন ছবি বিশ্বাস।
বলিউডে বায়োপিকের মিছিল। মিলখা সিং থেকে মেরি কম, শচীন থেকে ধোনি, তালিকাটা বেশ লম্বা। তবে, অধিকাংশই খেলার জগতের মানুষ। সামাজিক ক্ষেত্রে দারুণ অবদান, এমন মানুষদের নিয়ে তেমন ছবি করতে দেখা যায় না।
শোনা যায়, করিমুল হককে নিয়ে নাকি মুম্বইয়ে ছবি হবে। পিছিয়ে নেই আমাদের বাংলাও। নারী দিবসে দারুণ এক উপহারের ঘোষণা করলেন দেব। বায়োপিক হবে সুবাসিনী মিস্ত্রীকে নিয়ে। সুবাসিনী এক লড়াকু মহিলা। স্বামী মারা গেছেন বিনা চিকিৎসায়। পরিবার প্রায় ভেসে যাওয়ার উপক্রম। সবজি বিক্রি করে কোনওরকমে সংসার চালানো। কিন্তু এখানেই থেমে যাওয়া নয়, মনের মধ্যে ঘুরপাক খেত একটা স্বপ্ন— একদিন এই সবজি বিক্রি করেই একটা হাসপাতাল তৈরি করবেন। সেখানে বিনা খরচে সবার চিকিৎসা হবে।
শুরুর দিকে সবাই হেসেই উড়িয়ে দিতেন। কিন্তু হার মানেননি সুবাসিনী। নিজের ছেলেকে ডাক্তারি পড়ালেন। ঠাকুরপুকুর এলাকায় তৈরি করলেন সেই হাসপাতাল। একটু একটু করে সেই হাসপাতালের খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ল। আজও সুবাসিনীর হাসপাতাল মানে গরিবের ভরসার ঠিকানা। কেউ বলেন সবজি মাসি। কেউ বলেন বুড়িমা।
এই বুড়িমা ও তাঁর তৈরি হাসপাতালকে নিয়েই সিনেমা। পরিচালনা করবেন অনিকেত চট্টোপাধ্যায়। আর প্রযোজক হিসেবে এগিয়ে এসেছেন দেব। তবে তিনি অবশ্য এই ছবিতে অভিনয় করবেন না। কে থাকবেন সুবাসিনীর ভূমিকায়? এখনও চূড়ান্ত হয়নি। নানা বয়সের সুবাসিনীকে তুলে ধরা হবে। তাই এই চরিত্রে একজন নয়, একাধিক অভিনেত্রীকে দেখা যাবে।