সরল বিশ্বাস
রাজ্যসভা ভোটের দিনক্ষণ জানিয়ে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এই রাজ্য থেকে যাবেন পাঁচজন। চারজন তৃণমূল থেকে যাবেন, এ নিয়ে কোনও সংশয় নেই। বিরোধীদের পক্ষ থেকে যেতে পারেন একজন। কে হবেন সেই প্রার্থী। কংগ্রেস সমর্থিত বামেদের প্রার্থী। নাকি বাম সমর্থিত কংগ্রেসের প্রার্থী। নাকি সম্মিলিত বিরোধীদের গ্রহণযোগ্য কোনও প্রার্থী।
গত বছর অদ্ভুত দ্বিধা দেখিয়েছিলেন বামেরা। সীতারাম ইয়েচুরিকে ফের রাজ্যসভায় পাঠাতে কংগ্রেসের কোনও আপত্তি ছিল না। হাইকমান্ড বেশ আগ্রহীই ছিলেন। অহেতুক গড়িমসি করতে গিয়ে ট্রেনটা মিস করেছিলেন বামেরা। ফলে, কংগ্রেসের প্রদীপ ভট্টাচার্য পৌঁছে গিয়েছিলেন রাজ্যসভায়। এবার সিপিএমের তপন সেনের টার্ম শেষ হচ্ছে।
সীতারাম ইয়েচুরি আগেই বিদায় নিয়েছেন। ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় থেকেও নেই। তিনি এখন বহিষ্কৃত ও দলহীন সাংসদ। এবার তপন সেনের টার্ম শেষ হলে এই রাজ্য থেকে বামেদের কোনও প্রতিনিধিই থাকছেন না। এবারও দলীয় টিকিটে কাউকে জিতিয়ে আনা সম্ভব নয়। তাহলে, কংগ্রেসের সমর্থন দরকার। সিপিএমের আভ্যন্তরীণ সমীকরণ যা, তাতে এই মুহূর্তে কংগ্রেসের সমর্থন চাওয়া যাবে না। আগ বাড়িয়ে কংগ্রেসই বা সমর্থন করতে যাবে কেন? তাহলে উপায়?
উপায় একটাই, একজন সর্বসম্মত প্রার্থী খুঁজে বের করা, যিনি উভয়পক্ষের কাছেই গ্রহণযোগ্য হবেন। হাতে বেশি সময় নেই। দশদিনের মধ্যেই মনোনয়নের প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যাবে। এখন থেকে ভাবনা–চিন্তা চুলক। আলাপ–আলোচনা চলুক।
এই বাংলায় এমন নামের কিন্তু অভাব নেই। নামের তালিকা বেশি দীর্ঘ না করে মাত্র কয়েকটি নাম নিয়েই আলোচনা চলুক। আগেরবার শেষদিন প্রার্থী দিতে গিয়েছিল সিপিএম। বিকাশ ভট্টাচার্যের মনোনয়ন বাতিল হয়েছিল। এবার যেন সেই ভুল আর না হয়। ছুঁৎমার্গ ছেড়ে খোলা মনে ভাবনা চিন্তা হোক। স্বচ্ছ ভাবমূর্তির কোনও প্রার্থীকেই রাজ্যসভায় পাঠানো হোক।