‌দলহীন, কিন্তু কোনদিকে ঝুঁকে ঋতব্রত?‌

বেঙ্গল টাইমস প্রতিবেদন:‌

আপাতত দলহীন সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যসভায় আর তাঁর নামের সঙ্গে কোনও দলীয় পরিচিতি রইল না। কোনও দল যখন কাউকে বহিষ্কার করে, লিখিতভাবে লোকসভা বা রাজ্যসভায় তা জানানো হয়, তখন সেই সাংসদ চাইলে অন্য দলে যোগ দিতে পারেন। সেক্ষেত্রে ঋতব্রতও অন্য দলে যোগ দিতেই পারেন। আইনত আর বাধা নেই।

ritabrata2
কিন্তু বাধা অন্য জায়গায়। বহিষ্কারের আগেই বিজেপি শিবিরের দিকে পা বাড়িয়েই ছিলেন এই তরুণ সাংসদ। মুকুল রায়, কৈলাশ বিজয়বর্গীয়দের সঙ্গে একপ্রস্থ কথাও হয়েছিল। বিজেপি–‌র সুরেই একটু একটু করে কথা বলতে শুরুও করেছিলেন। তাঁর বিজেপি শিবিরে যোগদান ছিল নিছকই সময়ের অপেক্ষা।
কিন্তু তারপরই বদলে গেল ছবিটা। বালুরঘাটের এক যুবতী অভিযোগ জানালেন ঋতব্রতর নামে। ভাইরাল হয়ে গেল ঘনিষ্ঠতার কিছু ভিডিও ও স্টিল ছবি। তদন্তে নামল সিআইডি। যে কোনও সময়েই গ্রেপ্তার হতে পারতেন এই সাংসদ। সূত্রের খবর, তখনকার মতো তৃণমূল ঘনিষ্ঠতার জন্যই নিষ্কৃতি পান। বিষয়টি আপাতত ঠাণ্ডা ঘরে। তাই ঋতব্রতকেও আপাতত তৃণমূল শিবিরের মন জুগিয়েই চলতে হবে। যখনই বিজেপি–‌র পক্ষে কথা বলবেন, পুরনো মামলা খুঁচিয়ে তুলে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হবে। অপদস্থ করার নানা চেষ্টা হবে। তাই আপাতত তৃণমূলের দিকে ঝুঁকে থাকা ছাড়া তাঁর উপায় নেই। এমনকী টার্ম শেষ হয়ে গেলে তিনি ফের তৃণমূলের টিকিটে রাজ্যসভা থেকে নির্বাচিত হলেও অবাক হওয়ার কিছু নেই। বিজেপি–‌র দিকে ঝুঁকে থাকা সাংসদ হঠাৎ তৃণমূলের দিকে ঝুঁকে গেলেন। নেপথ্যে সেই নম্রতা দত্ত। বালুরঘাটের সেই যুবতী নিজেও জানেন না কতখানি অদল–‌বদল তিনি করে দিলেন। বাংলার রাজনীতিতে সত্যিই বিরল।

Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.