বেঙ্গল টাইমস প্রতিবেদন:
আরও এক বাম বিধায়ক সামিল হলেন উন্নয়নের কর্মযজ্ঞে। তিনি বাঁকুড়ার ছাতনা থেকে নির্বাচিত আর এস পি বিধায়ক ধীরেন্দ্রনাথ লায়েক। অনেকদিন ধরেই তাঁর দলবদল নিয়ে জল্পনা চলছিল। মাঝে কথাবার্তাও পাকা হয়ে গিয়েছিল। অবশেষে রায়পুরে তৃণমূলের সভায় তাঁর হাতে পতাকা ধরিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রীর ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
দু বছর আগে এই কেন্দ্রে তৃণমূল বিধায়ক সুভাশিস বটব্যালকে পরাজিত করেন। সূত্রের দাবি, তৃণমূলের একটা বিক্ষুব্ধ অংশের ভোট জমা হয় বাম প্রার্থীর ঝুলিতে। জেতার পর থেকেই এলাকায় তেমন দেখা যেত না। উন্নয়ন সংক্রান্ত ব্যাপারে স্পষ্ট ধারনাও ছিল না।
আগেই তাঁর তৃণমূলে যোগ দেওয়ার কথা ছিল। সূত্রের দাবি, লোভনীয় প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু মাঝে ভাইপো অভিষেক দুর্ঘটনায় জখম হন। তখন ধীরেনবাবুর যোগ দেওয়া পিছিয়ে যায়। আগের রাতেও তিনি ছিলেন দলের জেলা দপ্তরে। সেখান থেকে সকালে বেরিয়ে যান। বলেন, একটি শ্রাদ্ধ বাড়িতে যাচ্ছি। তারপরই হাজির হন রায়পুরে তৃণমূলের সভায়।
এবার বিধানসভা নির্বাচনে বাঁকুড়া জেলায় তৃণমূলের ফল তেমন ভাল হয়নি। বামেরা তিনটি ও কংগ্রেস দুটি আসন পায়। কংগ্রেসের দুজন (তুষার ভট্টাচার্য ও শম্পা দরিপা) আগেই ‘উন্নয়নের কর্মযজ্ঞে’ নাম লিখিয়েছেন। সোনামুখি ও বড়জোড়ার বাম বিধায়কদেরও দলে টানার চেষ্টা হয়েছিল। তাঁরা যোগ না দিলেও ধীরেনবাবু যোগ দিলেন। ধীরেনবাবুর ক্ষেত্রে দলত্যাগ বিরোধী আইনও কার্যকর হবে না। কারণ, বিধানসভায় আরএসপি–র সদস্য তিনজন। সেখান থেকে একজন চলে যাওয়া মানে, এক তৃতীয়াংশ চলে যাওয়া। সরকারিভাবেই তিনি তৃণমূল বিধায়ক হিসেবে নিজেকে পরিচয় দিতে পারবেন।
তাঁর প্রতিক্রিয়া এখনও জানা যায়নি। হয়ত বলবেন, এলাকার উন্নয়নের স্বার্থেই যোগ দিলাম। আদর্শের কথাও বলতে পারেন। কিন্তু ‘রফাসূত্র’ সম্পর্কে অন্য ব্যাখ্যাই শোনা যাচ্ছে।
‘উন্নয়নের কর্মযজ্ঞে’ আরেক বাম বিধায়ক
