কর্পোরেটরা মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছিল। এগিয়ে এল ওড়িশা সরকার। তারাই এবার জাতীয় হকি দলের স্পন্সর। ভারতীয় খেলায় ব্যতিক্রমী একটি ঘটনা। এত বড় একটি সাহসী পদক্ষেপ, কোথাও কোনও আলোড়ন নেই। লিখেছেন সোহম সেন।।
ওড়িশার ক্লাবগুলি কি সরকার থেকে লাখ লাখ টাকা অনুদান পায়? পায় না। ওড়িশায় কি ঘটা করে খেলরত্ন দেওয়া হয়? হয় না। কোনও নির্বাচনী সভায় ধরে ধরে প্রাক্তন খেলোয়াড়দের নিয়ে যাওয়া হয়? হয় না।
এসব কিছুই হয় না। তবু নিঃশব্দে একটি কাজ করে বসল ওড়িশা সরকার। দেশের হকি দলের স্পন্সর হল ওড়িশা সরকার। ভারতের খেলাধূলায় এর আগে এমনটা হয়েছে বলে শোনা যায়নি। এর আগে হকি দলের স্পন্সর ছিল সাহারা। কিন্তু এখন তারা নিদেরাই বেসাহারা। ফলে, হকিও বেসামাল।
সত্যিই তো, হকির মতো একটা খেলা, যাকে ঘিরে একেবারেই মিডিয়া হাইপ নেই, এমন সংস্থাকে স্পন্সর করার জন্য কেই বা এগিয়ে আসবে? আইপিএলে টাকা উড়বে। কিন্তু যে খেলাটা আন্তর্জাতিক আসরে দেশকে সবথেকে বেশি গৌরব এনে দিয়েছে, সেই খেলাটাই ব্রাত্য থেকে যাবে। কর্পোরেটদের দরজায় দরজায় ঘুরেও লাভ হয়নি। হকি সংস্থার মাথায় বড় বড় আমলাদের বসিয়েও লাভ হয়নি।
দেশের খেলাধূলায় পথ দেখাল ওড়িশা। তেলো মাথায় তেল দেওয়ার জন্য অনেকেই আছে। কিন্তু যেখানে আসল কাজটি করা দরকার, সেখানে কাউকে পাওয়া যায় না। শুধু জাতীয় দলকে স্পন্সর করাই নয়, তরুণ প্রতিভাদের তুলে আনার কাজেও জোর দিচ্ছে ওড়িশা সরকার।
বিভিন্ন সরকার যদি এরকম একটি করে খেলার দায়িত্ব নিত, তাহলে অন্তত ছোট খেলাগুলির সমস্যা অনেকটাই দূর হতে পারত। ওড়িশা পথ দেখাল, এবার দেখা যাক বাকিরা সেই পথে হাঁটার সাহস দেখায় কিনা।