রজত সেনগুপ্ত
অবসর নিয়ে আর জল্পনা নেই। তিনি পদত্যাগ করতে চেয়েছিলেন। সেই আর্জি মঞ্জুর হয়েছে। এবার তাহলে ভারতী ঘোষ কী করবেন? জোর জল্পনা, তিনি বিজেপিতে যোগ দেবেন। হয়ত লোকসভায় বিজেপির টিকিটে লড়তেও দেখা যেতে পারে। গতিপ্রকৃতি যা, তাতে সেটা ঘটতেই পারে। অন্তত এই জল্পনাকে বেশ বিশ্বাসযোগ্য বলেই মনে হচ্ছে।
রাহুল সিনহা এক জনসভায় ঘোষণা করলেন, ‘টাকা পয়সার বখরা নিয়ে ঝামেলা, সেই কারণেই ভারতী ঘোষকে বদলি করা হয়। সেই কারণেই তিনি পদত্যাগ করেছেন।’ এখানেই শেষ নয়, আরও একঝাঁক অভিযোগ উঠে এসেছে ভারতীর নামে। আসলে, হাততালির মোহটা রাহুলবাবু কখনই সামলাতে পারেন না। তাই হাততালির জন্য যা যা বলেন, পরে সেগুলোই গিলতে হয়।
মুকুল রায় নিয়েও একসময় বলতেন, গিলতে হয়েছে। পরে মুকুল রায়কে বরণ করে নিয়েছেন খোদ আমিত শাহরা। এখানেও হয়ত তেমনটাই হবে। রাহুল সিনহা–দিলীপ ঘোষরা যাই বলে থাকুন, যা হওয়ার তাই হবে। তাঁদের কোনও আপত্তিই ধোপে টিকবে না। ফুল নিয়ে হাজির থাকতে হবে। ম্যাডাম ম্যাডাম বলে সম্বোধন করতে হবে।
ভারতী ঘোষ সম্পর্কে স্পষ্ট অবস্থান কী? তিনি চূড়ান্ত দুর্নীতিপরায়ণ অফিসার নাকি দারুণ প্রতিবাদী এক অফিসার? এখনই বরং অবস্থান পরিষ্কার করা হোক। বিজেপি নেতারা যদি মনে করেন, ভারতীকে নেওয়া যাবে না, তাহলে সেটা আরও স্পষ্ট করে বলুন। বলুন, যদি ভারতীকে নেওয়া হয়, আমরা দল ছাড়ব। এখন বলব দুর্নীতিগ্রস্থ, আর দলে নেওয়া হলে বলব প্রতিবাদী, এই দ্বিচারিতা চলতে পারে না।